আদতে পাকিস্তানের সুপার এইট ভাগ্য নিজেদের খেলার চেয়েও অন্য দলগুলোর ওপরেই এখন বেশি নির্ভর করছে।
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরেছে পাকিস্তান। এরপর লো-স্কোরিং ম্যাচে ভারতের ছুঁড়ে দেওয়া ১২০ রানের লক্ষ্যও পেরোতে পারেনি বাবর-রিজওয়ানরা। এতে টানা দুই ম্যাচে হেরে বিশ্বমঞ্চ থেকেই ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় দলটি।
ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন পাকিস্তানি বোলাররা। আঁটসাঁট বোলিংয়ে গুড়িয়ে দিয়েছেন ভারতীয় ব্যাটিং লাইন-আপ। নাসিম শাহ-মোহাম্মদ আমির-হারিস রউফদের আগুনে বোলিংয়ে মাত্র ১১৯ রানেই থামে ম্যান ইন ব্লুরা।
তবে এখনও কাগজে কলমে টিকে আছে পাকিস্তানের সুপার এইট খেলার সম্ভাবনা। তবে এর সাথে রয়েছে যদি, কিন্তু, তবুও ধরণের সমীকরণ। এজন্য সবার আগে কানাডা ও আয়ারল্যান্ডের সাথে বড় ব্যবধানে জিততে হবে বাবর আজমের দলকে। এই সমীকরণটা পাকিস্তানের হাতে রয়েছে, যা তারা নিজেরা মাঠে খেলে শর্ত পূরন করতে পারে। এরপর বাকি হিসেব যা তাদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেই। এক্ষেত্রে, ভারতকে জিততে হবে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। সবশেষ যুক্তরাষ্ট্র-আয়ারল্যান্ড ম্যাচটা জিততে হবে আইরিশদের।
১১ জুন, পাকিস্তান-কানাডার ম্যাচ: পাকিস্তানকে বড় ব্যবধানে জিততে হবে।
১২ জুন, ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচ: ভারতকে জিততে হবে।
১৪ জুন, যুক্তরাষ্ট্র-আয়ারল্যান্ডের ম্যাচ: আয়ারল্যান্ডকে জিততে হবে।
১৫ জুন, ভারত-কানাডার ম্যাচ: ভারতকে জিততে হবে।
১৬ জুন, পাকিস্তান-আয়ারল্যান্ডের ম্যাচ: পাকিস্তানকে বড় ব্যবধানে জিততে হবে।
এভাবে সবকিছু ঠিকঠাক ঘটলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সুপার এইটে যাবে ভারত। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের পয়েন্ট হবে সমান। আর তখনই নেট রান নেট সুবিধা নিয়ে সুপার এইটে যেতে পারবে পাকিস্তান।