দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শতবর্ষী সৈনিক হ্যারল্ড টেরেন্স (১০০) সম্প্রতি বিয়ে করেছেন ৯৬ বছর বয়সী প্রিয়তমা জেন সোয়েরলিনকে। বর টেরেন্স দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একজন সৈনিক। শনিবার (৮ জুন) ফ্রান্সের নরম্যান্ডির কারেনতান-লেস-মারিয়াসের টাউন হলে বিয়ের কাজটি সম্পনন হয়। এর দু‘দিন আগেই ডি-ডে’র ৮০তম বর্ষপূর্তিতে সংবর্ধনা পেয়েছিলেন হ্যারল্ড টেরেন্স।
১৯৪৪ সালের ৬ জুন ফ্রান্সের নরম্যান্ডি উপকূলে পৌঁছান মিত্রবাহিনীর প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার সেনা। দিনটি ডি-ডে হিসেবে পরিচিত। মিত্রবাহিনীর সেনারা সৈকতে পৌঁছালে জার্মান নেতৃত্বাধীন অক্ষশক্তির সঙ্গে তুমুল লড়াই হয়। অবশ্য লড়াইয়ে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সুবিধাজনক অবস্থানে পৌঁছায় মিত্রশক্তি। ঘুরে যায় যুদ্ধের মোড়। জার্মান বাহিনীর দখলদারত্ব থেকে মুক্ত হয় ফ্রান্স। শেষ পর্যন্ত অ্যাডলফ হিটলারের নিপীড়ন থেকে মুক্তি পায় ইউরোপ।

দিবসটি ঘটা করে পালন করে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন মিত্রশক্তির দেশগুলো। এবারও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ ২০টির বেশি দেশের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এতে যোগ দিয়েছিলেন। অংশ নেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেওয়া মিত্রবাহিনীর সেনাও।
এ সুযোগে দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে চাইলেন টেরেন্স ও সোয়েরলিন। তাদের বিয়ে পড়ান কারেনতানের মেয়র জ্যঁ-পিয়েরে লোনর। বর ও কনে ‘হ্যাঁ’ বলতেই হলভর্তি অতিথিরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। বর-কনেকে অভিবাদন জানান তারা।
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগে হবু কনে হয়তো বলতে চেয়েছিলেন, ‘ভালোবাসা কেবল তরুণদের বিষয় নয়, আমরাও প্রেমে পড়ি।’ আর দিনটিকে নিজের জীবনের সেরা দিন হিসেবে অভিহিত করেছেন টেরেন্স।
বিয়ের রাতটি যে নবদম্পতির বিশেষভাবে কেটেছে, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এলিসি প্রাসাদে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে নৈশভোজের আমন্ত্রণও পেয়েছেন তারা।