আগামী ১৭জুন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা। ৩দিন ব্যাপী চলবে এই উৎসব। কোরবানির পশু বিকিকিনির জন্য খুলনা বিভাগের ১৫৭টি হাটের অনুমোদন মিলছে। নিরাপদ মাংস উৎপাদনের নিমিত্তে এই সব বাজারে বিক্রি হবে কোরবানির পশু।
পশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় ১৩৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। খামারে শুরু হয়েছে বিক্রি। হাট বাজরের মধ্যে স্থায়ীও ও অস্থায়ী। কেসিসি কর্তৃক পরিচালিত জোড়াগেট পশুরহাটের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সরকারি উদ্যোগে বিক্রি হচ্ছে পশু।
সূত্র জানান, বিভাগের ১০ জেলার ৫৯ উপজেলা ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকার জোড়াগেট পশুরহাট ও মেডিকেল টিম পশুর স্বাস্থ সুরক্ষায় কাজ করছেন। বাজারগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত চলবে পশু বিকিকিনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় থাকবে জালনোট সনাক্তকরণ ব্যবস্থা। স্বাস্থ বিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পশু বেচাকেনা চলবে। সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জোড়াগেট বাজারে বসছে পশুর হাট।
হাট বাজোরগুলোর মধ্যে রয়েছে খুলনার ৯উপজেলা ও কেসিসি’র জোড়াগেট এলাকায় সরকার অনুমোদিত হাট-বাজার রয়েছে ২২টি। এখানে ৩৩টি মেডিকেল টিম দায়িত্ব পালন করবে। বাগেরহাট জেলায় ৯উপজেলায় হাট রয়েছে ২৭টি। মেডিকেল টিম রয়েছে ২৩টি। সাতক্ষীরা জেলায় ৭উপজেলায় হাট রয়েছে ১৫টি। মেডিকেল টিম রয়েছে ১৫টি। যশোর জেলার ৮উপজেলায় হাট রয়েছে ২১টি। এখানে ১৭টি মেডিকেল টিম দায়িত্ব পালন করবে। ঝিনেদা জেলায় ৬টি উপজেলায় হাট রয়েছে ২২টি। মেডিকেল টিম রয়েছে ১১টি।মাগুরা জেলায় ৪টি উপজেলায় ১৮টি হাট রয়েছে। মেডিকেল টিম রয়েছে ৯টি।নড়াইল জেলায় ৩টি উপজেলায় হাট রয়েছে ৬টি। এই জেলায় ৬টি মেডিকেল টিম দায়িত্ব পালন করবে। কুষ্টিয়া জেলায় ৬টি উপজেলায় হাট রয়েছে ১৬টি। মেডিকেল টিম রয়েছে ১৪টি।
চুয়াডাঙ্গায় ৪টি উপজেলায় হাট রয়েছে ৪টি হাট রয়েছে। এখানে ৪টি মেডিকেল টিম কাজ করছে এবং মেহেরপুর জেলায় ৩টি উপজেলায় ৬টি হাট-বাজার রয়েছে। এখানে ৪টি মেডিকেল টিম দায়িত্ব পালন করবে। খামারে প্রস্তুতকৃত পশুর মধ্যে রয়েছে ষাড়, বলদ, গাভী, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া। খুলনা বিভাগে চাহিদার তুলনায় ৩২শতাংশ পশু বেশী রয়েছে।
খুলনা বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরিচালক ডা. নুরুল্লহ মো.আহসান বলেন,খামারে প্রতিনিয়ত তদারকি করা হচ্ছে। প্রতিটি হাট-বাজারে মেডিকেল টিম কাজ করছে। এই বিভাগে পশু সংকট নেই। চাহিদার তুলনায় বেশী রয়েছে। বাজারে কোন সেড না থাকায় গরমে সমস্যা হচ্ছে। হাট বাজার পরিদর্শন করা হচ্ছে। খামারীদের সুষম খাবার কাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন এবং হাট বাজার পরিচালনার জন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।