যেকোনো বয়সেই ব্রেন টিউমার হতে পারে। ব্রেন টিউমার একটি অত্যন্ত জটিল ও সংবেদনশীল অঙ্গের টিউমার। তাই রোগটির চিকিৎসাপদ্ধতিও অনেক জটিল ও ক্ষেত্রবিশেষ অনেক ব্যয়বহুল। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা করেও কাঙ্ক্ষিত ফল লাভ করা যায় না।
অন্যান্য টিউমারের মতো ব্রেন টিউমারও দুই ধরণের। একটি বিনাইন, অপেক্ষাকৃত ভালো এবং অন্যটি মেলিগন্যান্ট, খারাপ প্রকৃতির।
ব্রেনের ভেতরে যখন কোন টিউমার বাড়তে থাকে তখন মাথাব্যথা শুরু হয়। সেই ব্যথার মাত্রা আরও বেশি হলে তখন বমি শুরু হয়। এরপর আস্তে আস্তে দূরের জিনিস ঝাপসা দেখা শুরু হয়। যেটা পরবর্তীতে অন্ধত্বে রূপ নিতে পারে বলে। যেটার পরবর্তীতে কোন চিকিৎসা হয় না বলেও জানান এই চিকিৎসক।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতিবছর ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হোন প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার মানুষ। সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও বাংলাদেশে এই সংখ্যা বছরে প্রায় ৬ হাজার। তবে চিন্তার বিষয় হলো, এই ব্যধির বেশিভাগ উপসর্গ সাধারণ মাথাব্যথা কিংবা মাইগ্রেনের ব্যথা হিসেবে রয়ে যায় অবহেলিত।
যদিও শুধু মাথা ব্যথা থাকলে, বা দীর্ঘ সময় ধরে সেটা বহাল থাকলে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। ব্রেন টিউমার হতে হলে অন্যান্য যে উপসর্গগুলো আছে সেগুলোও থাকতে হবে। এছাড়া, ব্রেনে টিউমার হলে ব্রেনে চাপ পড়বে, যেটি সচরাচর বুঝতে পারা যায়।
চিকিৎসকদের মতে, ব্রেন টিউমারের কোনো বয়স নেই। কিছু কিছু ধরন আছে যেগুলো শিশুদের বেশি হয়, আবার কিছু আছে বয়স্কদের বেশি হয়। আবার কিছু ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয়ের পর চিকিৎসা শুরু করতেও অনেকটা সময় কেটে যায়। এক্ষেত্রে দেখা যায়, অধিকাংশই অস্বচ্ছল রোগী। তাই সরকারি হাসপাতালে রোগীর চাপের সাথে সমন্বয় করে সুবিধা বাড়ানোর দাবি চিকিৎসকদের।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা নির্ভর করে টিউমারের আকার, অবস্থান এবং ধরনের ওপর। আর তাই টিউমার ধরা পড়ার পর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চিকিৎসা নেয়ার বিকল্প নেই।