সোনাগাজীতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন অস্থায়ী ২১টি, স্থায়ী ৩টি ও পৌরসভা মিলিয়ে মোট ২৫টি হাটে এবার কোরবানির পশুর হাট বসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বেচাবিক্রিও শুরু হয়েছে এসব হাটে। তবে দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার নানা অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলার সোনাগাজী মোঃ ছাবের সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ও ওলামা বাজার হাজী সেকান্তর মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে দেখা যায়, পশুর হাটে জমজমাট পরিবেশ। হাটে সারি সারি বাঁশের খুঁটিতে বাঁধা রয়েছে হাজারো কোরবানির পশু। গরুর দরদাম নিয়ে হাঁকডাক করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। গত বারের তুলনায় এবার হাটে বেশি পরিমাণে দেশি জাতের গরু উঠছে। গরুগুলো দেখতেও খুব সুন্দর।
অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, বিক্রেতারা চড়া দাম হাঁকিয়ে বসে রয়েছেন। তাই সামর্থ্য অনুযায়ী গরু-ছাগল কিনতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন। বিক্রির জন্য ১০টি ষাঁড় এনেছিলাম। অনেক দামাদামির পর তিনটি সাধারণ ক্রেতারা নিয়েছেন। তবে গো-খাদ্যের বেশি থাকায় ততোটা লাভ হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।
সোনাগাজী পৌর সভার পশুর হাটের ইজারাদার রানা এন্টারপ্রাইজ এর সত্ত্বাধিকারী শাখাওয়াত হোসেন রানা বলেন, ক্রেতা বিক্রেতা যেন নির্বিঘ্নে বেচাকেনা করতে পারে তাই শৃঙ্খলার জন্য মহিষ, গরু, ছাগল ও ভেড়ার জন্য আলাদা আলাদা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জাল টাকা শনাক্তের জন্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পশু গুলো যদি হঠাৎ অসুস্থ হয় তার জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা সহ রাত্রি কালিন লাইটিং এর সু ব্যবস্থা ও করা হয়েছে। আইনশৃংখলা কোন বিঘ্ন না ঘটে সে জন্য প্রশাসন সার্বিক সহযোগিতা করছেন।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডাঃ নেবু লাল দত্ত বলেন, সোনাগাজীতে পবিত্র ঈদুল আযহা (কুরবান ঈদ) কুরবানির জন্য পর্যাপ্ত পশু মজুদ আছে। উপজেলা ঈদে মজুদ আছে প্রায় ১ হাজার ৯ শ। চাহিদা ও প্রায় এরকম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান বলেন, ঈদকে সামনে রেখে কেউ যেন পশুর হাটে কোন অপ্রীতিকর কোন ঘটনা না ঘটাতে পারে এ জন্য সর্বোচ্চ মনিটরিং করা হচ্ছে। আশাকরি হাটগুলোতে নির্বিঘ্নে ক্রেতা বিক্রেতা পশু বেচাকেনা করতে পারছেন।