যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ভরতপুরে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ মামলায় দুই জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬ যশোরের সদস্যরা। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার ভরতপুর ও ঘুঘুদাহ গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একজন ওই কিশোরীর নানা ও অপরজন স্কুলের দপ্তরী। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ৩টায় এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন জানান, ওই কিশোরী ঘুঘুদাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
৫ বছর পূর্বে তার বাবা-মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ায় মেয়েটি তার মায়ের ফুফা নিমাই মন্ডলের বাড়িতে বসবাস করতো। ৮/৯ মাস পূর্বে নিমাইয়ের স্ত্রী মারা গেলে মেয়েটিকে তার মা নিজের কাছে নিয়ে যেতে চান। কিন্তু নিমাই মেয়েটিকে তার বাড়িতেই রেখে দেন।
মেয়েটি যে স্কুলে পড়ালেখা করতো সেই স্কুলের দপ্তরী দেবব্রত কুমার দাস বাচ্চু স্কুলের কাজের অজুহাতে বিভিন্ন সময় নিমাই মন্ডলের বাড়িতে আসা যাওয়া শুরু করে। এরপর দেবব্রত কুমার দাস বাচ্চুর সহযোগীতায় মেয়েটিকে গত নভেম্বর মাস থেকে ধর্ষণ করে আসছে নানা নিমাই মন্ডল। এতে ওই কিশোরী
অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। গত ১ জুন মেয়েটির মা অন্তঃসত্ত্বার খবর জেনে মামলা করতে চাইলে তাকে ভয়ভীতি দেখানো হয়।
মেয়েটির মা র্যাবের সহায়তায় গত মঙ্গলবার মণিরামপুর থানায় মামলা করেন। এরপর র্যাব সদস্যরা গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে নিমাই মন্ডল ও দেবব্রত কুমার দাস বাচ্চুকে গ্রেফতার করে। বুধবার বিকেলে তাদের মনিরামপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।