বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ১০ বৈশাখ ১৪৩২
বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫
সাইবার ক্রাইমে যাবেন সেই রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: বুধবার, ১৯ জুন, ২০২৪, ৩:৪৫ PM আপডেট: ১৯.০৬.২০২৪ ৪:৫১ PM
খাসির ছবিসহ ভাইরাল হওয়া যুবক মুশফিকুর রহমান ইফাত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য এবং কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমানের ছেলে নন। 

আজ বিষয়টি নিশ্চিত করে মতিউর রহমান বলেন, ইফাত নামের আমার কোনো ছেলে নেই। এমনকি আত্মীয় বা পরিচিতও নন। আমার একমাত্র ছেলে, তার নাম তৈাফিকুর রহমান। একটি গোষ্ঠী আমার বিরুদ্ধে অপ্রচার করছে। আমি এ বিষয়ে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের সহায়তা চেয়ে আইনি পদক্ষেপে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, সামাজিক মাধ্যমে আমার ছবি ও নাম ব্যবহার করায় আমি বিব্রত। আমি অবশ্যই আইনি পদক্ষেপে যাব।

কোরবানি উপলক্ষে ১৫ লাখ টাকায় ছাগল কেনার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কটাক্ষের শিকার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্মকর্তা মতিউর রহমান পুলিশের দ্বারস্ত হচ্ছেন। তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রলকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটে যাচ্ছেন তিনি।

আজ বুধবার (১৯ ‍জুন) বিকেলে মতিউর রহমান নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মতিউর বলেন, এই সন্তান আমার না, এটা রহস্যজনক। যে ছাগল নিয়ে এত তুলকালাম ঘটল সেটাও বিক্রি হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাকে জড়িয়ে যেসব ট্রল হচ্ছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমি পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের দ্বারস্ত হচ্ছি।

এর আগে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, আলোচিত ওই ছাগল সঙ্গে নিয়ে এক তরুণ উচ্ছ্বসিত ভঙ্গিতে কথা বলছেন। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটিতে ওই ক্রেতাকে অন ক্যামেরায় বলতে শোনা যায়, ১১ জুন এটি ধানমন্ডি-৮ এ ডেলিভারি দেওয়া হবে। এরকম একটি খাসি কেনা আমার স্বপ্ন ছিল।

জানা যায়, ঢাকার মোহাম্মদপুরে অবস্থিত সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ভাইরাল হওয়া সেই খাসির জন্য এক লাখ টাকা বুকিং দিলেও নিতে আসেননি এর ক্রেতা মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের এক যুবক। গত ১২ জুন ডেলিভারি নেওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত ক্রেতা ইফাতের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি সাদিক অ্যাগ্রো কর্তৃপক্ষ। 

সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক মো. ইমরান বলেন, ইফাত নামের এক ক্রেতা আমাদের কাছ থেকে খাসিটি ১২ লাখ টাকায় কিনে নেন। আমরা খাসিটির দাম ১৫ লাখ টাকা চেয়েছিলাম। এক লাখ টাকা বুকিং দিয়েও তিনি খাসিটি আর নিতে আসেননি। সম্পূর্ণ টাকা আমাদের পরিশোধ করে খাসিটি নেওয়ার কথা ছিল ১২ জুন। আমরা ১১ জুন রাত থেকে ওই ক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। কিন্তু আমরা এখন পর্যন্ত তার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারিনি। আমরা এখনো তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। কিন্তু সে ফোন ধরছে না।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত