২১ জুন ভোরে শুরু হবে কোপা আমেরিকার ৪৮তম আসর। শতর্বষী এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধনীয় ম্যাচে খেলবে আর্জেন্টিনা ও কানাডা। লাতিন আমেরিকার মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের ম্যাচগুলো হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১২ শহরের ১৪ স্টেডিয়ামে। আর শিরোপার লড়াই ফাইনাল হবে মায়ামিতে।
২০১৬ সালে শতবর্ষী আসর বসেছিল মার্কিনমুল্লুকে। সেবার ফাইনালে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনাকে কাঁদিয়ে শিরোপা জেতে চিলি। সাধারণত দক্ষিণ আমেরিকার ১০ দল নিয়ে হয়ে থাকে এই টুর্নামেন্ট। তবে ১৯৯৩ সাল থেকে অংশ নেয় অতিথি দল। এবার উত্তর ও মধ্য আমেরিকা আর ক্যারিবীয় অঞ্চলের ৬ দেশ অংশ নিচ্ছে।
১৬ দল খেলবে চার গ্রুপে। এ-গ্রুপে আর্জেন্টিনার সঙ্গে রয়েছে কানাডা, চিলি ও পেরু। আর গ্রুপ-ডিতে ব্রাজিলের সঙ্গে আছে প্যারাগুয়ে, কোস্টারিকা ও কলম্বিয়া। বাংলাদেশ সময় ২৫ জুন ভোরে শিরোপা পুনরুদ্ধারে নামবে ব্রাজিল।
কোপা আমেরিকা গ্রুপ বিন্যাস
এ-গ্রুপ : আর্জেন্টিনা, কানাডা, চিলি, পেরু
বি-গ্রুপ : ইকুয়েডর, মেক্সিকো, জ্যামাইকা, ভেনিজুয়েলা
সি-গ্রুপ : যুক্তরাষ্ট্র, পানামা, উরুগুয়ে, বলিভিয়া
ডি-গ্রুপ : ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে, কোস্টারিকা, কলম্বিয়া
আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিল যদি নিজ নিজ গ্রুপের সেরা হয়, তাহলে ফাইনালের আগে দুদলের দেখা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। গত আসরে ফাইনালে খেলেছিল দুদল।
এবার ১০১ জন রেফারি পরিচালনা করবেন কোপার ম্যাচ। এর মধ্যে ইতালিয়ান রেফারি রয়েছে পাঁচজন। এবারই প্রথম কোপায় নারী রেফারিদের ম্যাচ পরিচালনা করতে দেখা যাবে।
এদিকে, কোপা আমেরিকা শুরুর একদিন আগে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে আয়োজকরা। গ্রুপ পর্ব শেষে হবে কোয়ার্টার ফাইনাল। প্রতিটি গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দুদল যাবে শেষ আটে। এরপর সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল দিয়ে শেষ হবে কোপার ৪৮তম আসর।
কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল এবং তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ড্র থাকলে সরাসরি টাইব্রেক বা পেনাল্টি শুট আউট হবে। শেষ আট ও শেষ চারের লড়াইয়ে খেলতে হবে না অতিরিক্ত ৩০ মিনিট।
কেবলমাত্র ফাইনালে রাখা হচ্ছে অতিরিক্ত ৩০ মিনিট। তবে যদি নির্ধারিত সময় ৯০ মিনিটে ম্যাচের ফলাফল হয়ে যায় তাহলে সেটিরও প্রয়োজন পড়বে না।
প্রসঙ্গত, কোপা আমেরিকার সবচেয়ে বেশি শিরোপা জিতেছে উরুগুয়ে ও আর্জেন্টিনা। দুই দলই ১৫ বার করে শিরোপা জিতেছে। আর ব্রাজিল জিতেছে ৯টি। ১৯৯৭ থেকে ২০০৭, টানা চারবার শিরোপা ঘরে তুলেছে সেলেসাওরা।
এর বাইরে চিলি, প্যারাগুয়ে, পেরু, কলম্বিয়া, বলিভিয়াও জিতেছে লাতিন আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্ব। দুবার ফাইনাল খেলেও শিরোপা জেতা হয়নি মেক্সিকোর। আর দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে শিরোপা জিততে ব্যর্থ হয়েছে ইকুয়েডর ও ভেনেজুয়েলা।