গত ১৪ জুন রাত হতে টানা বর্ষণের পানিতে বিশ্বম্ভরপুর থানাধীন সকল নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাইতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে গত ১৮ জুন বিশ্বম্ভরপুর থানা এলাকার ২নং পলাশ ইউপির- ধরেরপাড়, বসন্তপুর, পদ্মনগর, কাচিরগাতি, ৩নং ধনপুর ইউপির-চান্দারগাঁও, মহেন্দ্রনগর, ৪নং বাদাঘাট দক্ষিন ইউপির-শ্রীধরপুর, গন্ডামারা (মুজিবপল্লি), বাঘমারা (মুজিবপল্লি), ধরেরকান্দা, শক্তিয়ারখলা, ছত্রিশ গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়।
তাছাড়া ৫নং ফতেপুর ইউপির বিভিন্ন গ্রামের ভিতর ও রাস্তায় পানি প্রবেশ করেছে এবং নিম্নাঞ্চল বন্যার পানিতে প্লাবিত করে। উক্ত বন্যা পরিস্থতি মোকাবেলায় ও আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ১৮ জুন হতে জনাব, শ্যামল বনিক, অফিসার ইনচার্জ, বিশ্বম্ভরপুর থানা, সুনামগঞ্জ মহোদয় এর নেতৃত্বে বিশ্বম্ভরপুর থানার সকল অফিসার ও ফোর্স ০২(দুই) টি টিমে বিভক্ত হয়ে উদ্ধার ও ত্রান কার্যক্রম পরিচালনা করে আসাতেছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১৯ জুন জনাব, শ্যামল বনিক, অফিসার ইনচার্জ, বিশ্বম্ভরপুর থানা, সুনামগঞ্জ
১।প্যারিনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় গ্রহনকারী ৭০জন
২। ধরেরপাড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় গ্রহনকারী ৫০ জন এবং
৩। ভাটিপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় গ্রহনকারী ৩৮ জন আশ্রয় গ্রহনকারীদের মধ্যে দুপুরের খাবার বিতরন করেন।
তাছাড়া আশ্রয় কেন্দ্রের সার্বক্ষনিক নিরাপত্তার জন্য জনাব, শ্যামল বনিক মহোদয়ের নির্দেশে প্রত্যেক আশ্রয় কেন্দ্র ০১জন করে গ্রাম পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বন্যাকালীন সময় আইন শৃংখলা পরিস্থিতি যাতে অবনতি না হয় সেক্ষেত্রে বিশ্বম্ভরপুর থানা পুলিশ কর্তৃক ফুট পেট্রোল, মোবাইল পেট্রোল ডিউটির সাথে সাথে নৌ-পেট্রোল ডিউটি চালু রয়েছে। একই সাথে জনসচেতনতা মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হইতেছে মর্মে জানা যায়।