ঈশ্বরদীতে তপু হোসেন (১৪) নামে এক কিশোরের টুকরো টুকরো মরদেহ ট্রাংকে বন্দি অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় পৌর এলাকার মশুরিয়াপাড়ায় অরন্য ছাত্রাবাসের ৩য় তলা থেকে নিহত তপুর বস্তাবন্দি ট্রাংকের ভেতর থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত তপু ওই এলাকার রিক্সা চালক আবুল কাশেমের ছেলে।
জানা যায়, গত ১৬ জুন ওই কিশোর নিখোঁজ হয় তপু। ঐ দিনই তার মা মজিরন বেগম ঈশ্বরদী থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন। এরপরই পুলিশ তদন্তে নেমে মরদেহের খোঁজ পান।
পুলিশ জানায়, ঈদের দুইদিন আগে মাদক সেবন নিয়ে তপুর সাথে কথা কাটাকাটি হয় স্থানীয় কয়েকজন যুবকের। পরে তারা তপুকে কৌশলে ডেকে নিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর লাশ কয়েক টুকরো করে বস্তাবন্দি করে ওই ছাত্রাবাসের ৩০৫ নং রুমের একটি ট্যাংকের মধ্যে রেখে পালিয়ে যায়। নিখোঁজের পরদিন হত্যাকারীরা তপুর বাবার মুঠোফোনে কল দিয়ে বিকাশে টাকা দাবি করেন।
বিকাশে টাকা আদান-প্রদানের সূত্র ধরেই পুলিশ আলিফ হোসেন ও মনিরুজ্জামানসহ তিনজনকে আটক করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুসারে নিহত তপুর লাশ উদ্ধার করা হয়। মাদক সেবন নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনিরুল ইসলাম আটককৃতদের বরাতে বলেন, তপু মাদক সেবনকারী ছিল। মাদক সেবনকে কেন্দ্র করেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও একজনকে আটকের চেষ্টা হচ্ছে। অবশ্য মরদেহের শনাক্তের জন্য ডিএনএ পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পাবনা পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি পাওয়া) আকবর আলী মুন্সি বলেন, হত্যার রহস্য উদঘাটনের লক্ষে সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করা হয়েছে। অহেতুক যেন কাউকে হয়রানি না করা হয়, সেদিকে লক্ষ রাখার জন্য থানা পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রকৃত হত্যাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না।