এবার পবিত্র হজ পালিত হয়েছে তীব্র গরমে। তবে গরমের তীব্রতায় রেকর্ডসংখ্যক হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে সৌদি আরব জানিয়েছে, আগামী বছর গ্রীষ্মে অনুষ্ঠিত হবে সর্বশেষ হজ। এরপর বসন্ত ও শীতে হজ পালিত হবে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সৌদি আরবের শুরা কাউন্সিলের সদস্য ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক গবেষক ড. মনসুর আল মাজরু জানান, ২০২৫ সালে গ্রীষ্মে হজ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ২০২৬ সাল থেকে হজ বসন্তকালে অনুষ্ঠিত হবে। টানা আট বছর বসন্তে পালিত হবে হজের যাবতীয় কার্যক্রম। এরপর শীতেও হজ অনুষ্ঠিত হবে। মূলত জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে এমনটি ঘটবে।
তিনি বলেন, আগামী মৌসুমে গ্রীষ্মে হজ হবে। এরপর আট বছর বসন্তে চলে যাবে হজের কার্যক্রম। তারপর শীতকালে হজের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সারাবিশ্বের মুসল্লিরা আগামী বছর গ্রীষ্মে শেষ হজ পালন কররেন। এরপর জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বসন্তকালে অনুষ্ঠিত হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।
এ বছর হজের সময় তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু পবিত্র এই ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের সময় মৃত্যু অনেক কমে যাবে সামনের বছরগুলোতে। চলতি সপ্তাহে কয়েকটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, পরের বছর ২০২৫ সালের হজটি হতে যাচ্ছে গ্রীষ্মকালীন তীব্র গরমের মধ্যে অনুষ্ঠিত শেষ হজ।
কেন এমনটি ঘটবে?
ইসলামে চন্দ্রমাসের হিসেবে, হজ আরামদায়ক বসন্ত ও শীত ঋতুতে চলে যাবে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ন্যাশনাল মেটিওরোলজিক্যাল সেন্টারের সরকারি মুখপাত্র হুসেন আল কাহতানিকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, 'ঋতুকালীন সময়ের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের ফলে ইসলামিক চন্দ্রমাসের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী হজের তারিখ প্রতি বছর প্রায় ১০ দিন করে পিছিয়ে যায়। হজ যাত্রার সময় পরিবর্তিত হলে, এটি হজযাত্রীদের প্রচণ্ড গরম থেকে বড় স্বস্তি দেবে।