বগুড়া শহরের নিশিন্দাড়া চকরপাড়া এলাকায় ঈদুল আজহার দিনগত রাতে দুই যুবককে গুলি করে ও রাম দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহমেদ মিঠু সহ চার আসামির প্রত্যেকের চার দিনের রিমান্ড মনজুর করেছেন আদালত।
সোমবার (২৪ জুন) জেলা জেলা বগুড়ার অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শুনানির পর এ আদেশ দেন ম্যাজিস্ট্রেট সুকান্ত সাহা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. শাহীনুজ্জামান।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চার আসামি ছাড়া আর কেউ গ্রেপ্তার নেই৷ বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ঈদুল আজহার দিনগত রাতে শহরের নিশিন্দারা এলাকায় মো. রুমন শেখ ও নোমান আহম্মেদ নামে দুই যুবককে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন মঙ্গলবার রাতে বগুড়া সদর থানায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহত শরিফের মা মোছা. হেনা বেগম।
মামলায় বগুড়া শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বগুড়া জেলা পরিষদের সদস্য সৈয়দ সার্জিল আহম্মেদ (টিপু), তার বড় ভাই বগুড়া জেলা মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহম্মেদ (মিঠু) এবং বগুড়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি শাহ মো. মেহেদী হাসান হিমুসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয়ে আরও ১৫ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, যাতায়াতের পথ বন্ধ করে সড়কে প্রাইভেট কার দাঁড় করানো নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা টিপুর সঙ্গে বাকবিতণ্ডার জেরে বগুড়া শহরের নিশিন্দারা চকরপাড়া এলাকায় দুই তরুণকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় হোসাইন ওরফে বুলেট নামের আরেকজন গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় প্রধান আসামি শ্রমিক নেতা মিঠুসহ চারজন গ্রেপ্তার হলেও বাকি আসামিরা এখনও পলাতক রয়েছেন।
এদিকে এলাকাবাসীর পক্ষে হত্যাকারীদের ছবি সম্বলিত পোস্টার সাটিয়ে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়েছে।অপরদিকে জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কোভিদ আহমেদ মিঠুর ছবি সম্বলিত পোস্টার লাগিয়ে উক্ত হত্যা মামলা থেকে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করা হয়েছে।
বাবু/এস