টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার ভাতকুড়া গ্রামের ভাতকুড়া-মুশুদ্দি গ্রামীণ সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়াতে সড়কটি এখন মৃত্যুর ফাঁদ হিসেবে পরিনত হয়েছে কয়েক ইউনিয়নবাসীর কাছে।
দিনের বেলায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করা গেলেও রাতে চলাচলে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শত শত মানুষের। সড়কে বড়-বড় গর্তের পাশাপাশি পাঁকা অংশ ভেঙে নদীতে চলে গেছে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পথচলা। এরপরও সড়কটি সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেই।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার পাইস্কা ইউনিয়নের ভাতকুড়া গ্রাম দিয়ে সড়কটি চলে গেছে সাবেক মন্ত্রী ও স্থানীয় বর্তমান এমপি ড.আব্দুর রাজ্জাকের গ্রামে। সড়কটি ধরে প্রতিদিন চলাচল করছে বীরতারা, বলিভদ্র, মুশুদ্দি ও পাইস্কা ইউনিয়নের হাজারো মানুষ। সড়কের পাশে বৈরান নদী। ভাতকুড়ার নজরুলের দোকান হতে ব্রিজ পর্যন্ত সড়কের সিংহভাগ অংশ ভেঙে নদীতে চলে গেছে। ভাঙা অংশের পাশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাওয়া-আসা করতে হচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ চলাচলকারীদের। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের।
স্থানীয় বেলাল হোসেন বলেন, এই সড়ক থেকে নদীতে পড়ে কমপক্ষে ১৫-২০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। রাতে কেও বিপদে পড়লে তাঁর কোনো শেষ থাকে না। সড়কের বেহাল দশায় বর্তমান এমপি তাঁর গ্রামের বাড়ি মুশুদ্দিতে এখন বিকল্প সড়কে চলাচল করেন।
অটোরিকশা চালক আব্দুল আলিম জানান, সড়কটি এখন মরণ ফাঁদ হিসেবে পরিনত হয়েছে। রাতে অন্ধকারে চলাচল করতে গিয়ে লোকজন দুর্ঘটনায় পড়েন। দ্রুত সড়কটি সংস্কার করা হোক।
সবজির বেপারী আব্দুর রহিম মিয়া বলেন, ধনবাড়ী উপজেলায় মধ্যে সবচেয়ে বেশি সবজি উৎপাদন হয় মুশুদ্দি ও বলিভদ্র ইউনিয়নে। এই ভাঙা সড়কে তেমন কোনো গাড়ি চলাচল করতে চায় না। যা চলাচল করে ভাড়া বেশি দিয়ে যেতে হয়। আমরা সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।
পাইস্কা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বাবুল বলেন, এই সড়ক দিয়ে শুষ্ক মৌসুমে কোনো মতে চলাফেরা করা যায়। বিষয়টি আমাদের এমপি ড. আব্দুর রাজ্জাকও জানেন। তবে আমরা চেষ্টা করছি এটি সংস্কারের।
ধনবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম মন্ডল বলেন, সড়কটি সংস্কারে প্রকল্প গ্রহণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট ফাইল পাঠানো হয়েছে।
টাঙ্গাইল-১ (ধনবাড়ী-মধুপুর) সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামছুন নাহার চাঁপা বলেন, ওই সড়কটির বিষয়ে আমার জানা আছে। জনভোগান্তি এড়াতে সড়কটি সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।