গরমে কদর বাড়ে তালের শাঁসের, তখনই এই শাঁসের চাহিদাও বেড়ে যায় দেশের প্রতিটি হাট বাজারে এবং স্বস্তি আনে এই তালে শাঁসে। এর ব্যাতিক্রম নয় নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা।গরমে যখন হাঁস ফাঁস তখন ছোট বড় সকলের পছন্দের শীর্ষে থাকে তালের শাঁস।
সরেজমিনে সোমবার (২৫জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে তালের শাঁস কিনতে মানুষের ভীড় লক্ষ্য করা যায়।
কেন্দুয়া পৌর সদরের বাসষ্যান্ড এলাকায় রবিকুল ইসলাম নামের এক তালের শাঁস বিক্রেতা জানান, গরমে তাল শাঁসের চাহিদা বেড়ে যায়। প্রতিদিন যা বিক্রি করি তাতে ভালই লাভ হয়।
সাউদপাড়া মোড় এলাকায় আবুল মিয়া নামের আরেক তালের শাঁস বিক্রেতা বলেন, আমি সারা বছর বিভিন্ন পেশার সাথে জড়িত থাকি। গরমের এই সময়ে আমি তালের শাঁস বিক্রি করি।বর্তমানে তাল গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় তাল খুব একটা পাওয়া যায় না। তাছাড়া বিভিন্ন জিনিস পত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় তালের শাঁসের দামও বেড়েছে। আগে প্রতিটি তালের শাঁস ৫ টাকা বিক্রি করলেও এখন ১০ টাকা বিক্রি করতে হয়। সব বয়সের মানুষই তালের শাঁস পছন্দ করেন।ছোট ও মাঝারি সাইজের তালের চাহিদা বেশি।
তালের শাঁস কিনতে আসা শিক্ষক খায়রুল ইসলাম জানান, গরমে স্বস্তি আনে তালের শাঁস। ছোট বড় সব বয়সের মানুষের পছন্দ তালের শাঁস। আমি ও আমার পরিবারের লোকজন তালের শাঁস পছন্দ করি। তাই বাজারে কিনতে এসেছি। তবে দাম গত বছরের চেয়ে বেশি।
কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এবাদুর রহমান বলেন, গরমে তাপমাত্রার কারণে শুষ্ক ত্বক ও চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য এটি। অতিরিক্ত ঘামের ফলে শরীর থেকে যে পানি বের হয়ে যায় তাও পূরণ করতে সাহায্য করে তালের শাঁস। তাছাড়াও তালের শাঁসে রয়েছে আয়োডিন,মিনারেলস,জিংক, ফসফরাস ও পটাসিয়াম। বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ উপাদানে ভরপুর তালের শাঁস বিভিন্ন রোগের পথ্য হিসেবে ও কাজ করে।