আলোচিত অভিনেত্রী পরীমণির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের জেরে চাকরি হারাতে বসেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম সাকলায়েন। মঙ্গলবার (২৫ জুন) একটি সংবাদমাধ্যমকে চিত্রনায়িকা পরীমণি বলেন, আমি বা সাকলায়েন কিছু বলার আগেই এটা নিয়ে পাবলিকরা বলছে। প্রশাসনও কথা বলছে এটা নিয়ে।
অবৈধ সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) বদলি করা হয় তাকে। এরপর ঝিনাইদহ ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে বদলি করা হয় গোলাম সাকলায়েনকে।
অভিনেত্রী বলেন, বিষয়টি যখন এখনো ব্যক্তিগত পর্যায়ে আসেনি, ব্যক্তিগত পর্যায়ে আসলে তখন কথা বলব আমি। তবে মনে হয় না এ ব্যাপারে কোনো কথা বলার প্রয়োজন আছে আমার।
দেখুন ভিডিও:
পরীমণি বলেন, কথা বললে অনেক বিষয়ই আসবে। জীবনের ২৭ দিন বা জেলজীবন, বাসা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া থেকে শুরু করে বাসায় ফেরা পর্যন্ত ব্যাপারে এখনো কারও সামনে কথা বলিনি। ২৭ দিনের ঘটনার ব্যাপারেও কোথাও ২৭ সেকেন্ডও কথা বলিনি। কেননা, আমার কাছে মনে হয়নি কিছু বলার জন্য আমি এতদিন বাধ্যও ছিলাম। শুধু সবকিছু দেখেছি।
অভিনেত্রী বলেন, ঠিকঠাকভাবে যদি জানতে হয়, তাহলে দুই পক্ষ থেকেই জানতে হবে। আর তার ব্যাপারেও আমি যেহেতু এ পর্যন্ত কিছু বলিনি, আমার বলার মতো পরিস্থিতিও আসেনি বা আমি কোনো বাধ্য হইনি। তবে এমনটা যদি মনে হয়, আমাকে নিয়ে কথা বলছে বা অপরাধী বানাচ্ছে, তারপর কথা বলব আমি। মনে হয় না সে কোনোরকম এ ধরনের কথা বলবে। কেননা, পুরো ব্যাপারটিতে আমি নেই। কারও হয়তো কোনো ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে এমনটা হচ্ছে সাকলায়েনের সঙ্গে, সেটা হলে আমি তো আর সেই দোষ নেব না।
পরীমণি আরও বলেন, বলতে গেলে অল্প কথায় তো সব বলা যাবে না। পুরোটা বলতে হবে, আর পুরোটা বলার পরিস্থিতি আসেনি এখনো। যখন আসবে তখন অবশ্যই কথা বলব। আমাকে যদি কোনো ক্ষেত্রে দোষী করা হয়, তখন অবশ্যই বলব। আর সম্পর্কের বিষয় যদি উঠে আসে, এটা তো একজনের ব্যাপার না। দু’জনের পক্ষ থেকেই আসে। মানুষের কাছে এ পর্যন্ত আমাদের মধ্যকার সম্পর্কটা স্পষ্ট নয়। সব জায়গায় মনগড়া লেখা হয়েছে, জানাজানি হয়েছে।