বগুড়া জেলা কারাগারের ছাদ ফুটো করে দেয়াল পার হয়ে পালিয়েছেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৪ আসামি। মঙ্গলবার (২৬ জুন) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার ভোর ৪টার দিকে শহরের চেলোপাড়া চাষি বাজারের সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতার কয়েদিরা হলেন: কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীর দিয়াডাঙ্গা এলাকার মৃত আজিজুল হকের ছেলে মো. নজরুল মজনু ওরফে মঞ্জু (৬৮) (কয়েদি নং- ৯৯৮/এ), নরসিংদীর মাধবদীর ফজরকান্দি এলাকার মৃত ইসরাফিল খাঁর ছেলে মো. আমির হামজা ওরফে আমির হোসেন (কয়েদি নং- ৫১০৫/এ), বগুড়ার কাহালুর উলট্র পূর্বপাড়ার মো. মান্নানের ছেলে মো. জাকারিয়া (৩৪) (কয়েদি নং- ৩৬৮৫/এ) ও একই জেলার কুটুরবাড়ি পশ্চিমপাড়ার মৃত ইসরাইল শেখের ছেলে মো. ফরিদ শেখ (৩০) (কয়েদি নং-৪২৫২/এ)।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আজ সকালে কারাগারের আশপাশের এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।
অভিযানের এক পর্যায়ে ভোর ৪টা ১০ মিনিটের দিকে সদরবারীর উপ-পরিদর্শক (এসআই) খোরশেদ আলম শহরের চেলোপাড়ায় করতোয়া নদীর পাড়ে চাষি বাজার থেকে চারজনকে আটক করেন। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিশ্চিত হওয়া যায় এই চারজনই কারাগার থেকে পালানো সেই চার আসামি। এরপর তাদেরকে ডিবি অফিসে নিয়ে আসা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, পৃথক মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি একই কনডেম সেলে ছিলেন। সেখানে থেকেই তারা পালানোর পরিকল্পনা করেন। ঘটনার রাতে তারা নিজেদের বিছানার চাদর ছিড়ে দড়ি বানান। এরপর কৌশলে কারাগারের ছাদ ফুটো করে ছেলের বাইরে বের হন। আগে থেকে বানানো বিছানার চাদরের দড়ি দিয়ে কারাগরের বিল্ডিং থেকে নিচে নামেন। এরপর কারাগারের পূর্ব পাশে করতোয়া নদীর ব্রিজের নিচে দিয়ে ওই চারজন পালিয়ে যান।
জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ঘটনা জানা মাত্রই খুব দ্রুততম সময়ে আমাদের পুলিশ সদস্যরা চার আসামিকে আটক করতে সক্ষম হন। এখন তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।