স্বরূপকাঠি ন্যাশনাল সার্ভিসে লোক নিয়োগ সংক্রান্ত একটি গুজব খবরে উপজেলার ফটোকপি দোকানে ফর্ম বিক্রির ধুম পড়েছে।
প্রতিদিন শত শত নারী পুরুষ উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে ছুটে এসে ফটোকপির দোকানে ভীড় করে ফর্ম কিনছেন। ফর্ম কিনে পূরন করে উপজেলার যুব উন্নয়ন অফিসে জমা দিতে পারলেই চাকরি হবে। এমনটি ভেবে তারা ত্রিশ থেকে চল্লিশ টাকায় ফর্ম কিনে পূরণ করেই ভীড় করছেন যুব উন্নয়ন অফিসে। এ সুযোগে উপজেলা রোডে নির্দিষ্ট কিছু ফটোকপি দোকানিরা গনহারে ফটোকপি করে ফর্ম বিক্রি করছেন।কেউ কেউ ফটোকপির দোকানের সামনে সাইনবোর্ড আকারে টাঙিয়ে রেখেছেন ,এখানে ন্যাশনাল সার্ভিসের নতুন এবং পুরাতন ফর্ম পাওয়া যায়।
তবে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কোন ওয়েবসাইটে এ ধরনের ফর্ম পাওয়া যায়নি। দোকানিরা বলছেন উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসে ফরম পূরণ করতে যুবকের কাছ থেকে এ ফর্ম সংগ্রহ করে বিক্রি করছেন। উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিস বলছে তারা বাহিরের কোন দোকানে এ ফর্ম ছাড়েননি।
ফটোকপির দোকান থেকে ফর্ম কিনে উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসে জমা দিতে আসা এক বেকার নারী বলেন, আমরা শুনেছি ন্যাশনাল সার্ভিসে নতুন করে লোক নেয়া হচ্ছে। আমি পূর্বে ন্যাশনাল সার্ভিসে চাকরি করেছি। এখন শুনলাম নতুন করে লোক নেয়া হচ্ছে। তাই ফর্ম কিনে অফিসে জমা দিতে আসছি। ফর্ম জমা দিতে আসা অপর এক যুবক বলেন, আমরা জানতে পেরেছি ন্যাশনাল সার্ভিসে নতুন করে লোক নেয়া হবে। যারা এ প্রকল্পে পূর্বে চাকরি করেছে এবং যারা নতুন চাকরি করবে তাদের পৃথক পৃথক ফর্ম ফটোকপির দোকানে পাওয়া যাচ্ছে। পুরানদের ফর্ম চল্লিশ টাকা এবং নতুন প্রার্থীদের ফর্ম দশ টাকা করে রাখা হচ্ছে।
উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার দেবনাথ জানান, ন্যাশনাল সার্ভিসে চাকরি করে উপকারভোগীরা কতটা লাভবান হয়েছে এ মর্মে একটি জরিপ করার জন্য জেলা অফিস থেকে একটি নির্দেশনা এসেছে। যারা পূর্বে ন্যাশনাল সার্ভিসে চাকরি করেছে এবং যারা করতে পারেনি তাদের মধ্য থেকে মোট ৬৫টি জনের মতামত নিয়ে আমরা এ জরিপ করছি। জেলা অফিস এ জন্য আমাদের মোট ৬৫টি ফর্ম দিয়েছে। তবে এ ফর্ম আমাদের ওয়েব সাইটে নেই। আমরা জরিপ পরিচালনার জন্য উপকারভোগী পঞ্চাশজনের মধ্য এ ফর্ম দিয়েছি। হয়তো তাদের মধ্য থেকে কেহ বাহিরের ফটোকপি দোকানে এ ফর্ম ছড়িয়েছেন।
এখন প্রতিদিন স্বরূপকাঠি যুব উন্নয়ন অফিসে শত শত নারী পুরুষ ভীড় করছে। আমরাও একপ্রকার ভিভ্রান্তিতে পড়ছি। তিনি বলেন আমরা অচিরেই এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ বোর্ড বাহিরে ঝুলিয়ে দিব।
বাবু/এস