গ্রীষ্মের দাবদাহে আম পাকতে শুরু করে। বাজারে শোভা ছড়াচ্ছে এ হলুদ বর্ণের ফলটি। খেতে সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে ভরপুর এ আম সবারই প্রিয় ফল। তাই আমের সময় প্রতিটি বাড়িতেই দেখা যায় নানা রকম পাকা আম।
অনেকে এ আম সংরক্ষণও করে থাকেন। তবে বেশিরভাগ সময় দেখা যায় তাতে কালো দাগ পড়ে পচে যায়। তা থেকে বাঁচতেই কিছু উপায় রয়েছে।
জেনে নিন পাকা আম দীর্ঘদিন সংরক্ষণের উপায়:
১. আম পুরোপুরি না পাকলে ফ্রিজে রাখার প্রয়োজন নেই। বাতাস চলাচল করে এমন অন্ধকার স্থানে রেখে দিন ঘরেই। তবে আম যদি পেকে নরম হয়ে যায় তবে কাগজের প্যাকেটে নিয়ে ফ্রিজে রাখুন। ৬ দিন পর্যন্ত নরমাল ফ্রিজে ভালো থাকবে পাকা আম।
২. বেশ কিছুদিনের জন্য সংরক্ষণ করতে চাইলে বেশি পাকা আম নেবেন না। খানিকটা শক্ত ও খোসায় কোনও দাগ নেই এমন আম বাছাই করুন। আম টুকরো করে কেটে নিন। আঁটির চারপাশ থেকে আম কেটে নিয়ে আঁটি ফেলে দিন। এবার বক্সে আমের টুকরো নিয়ে মুখবন্ধ করে নিন শক্ত ঢাকনা দিয়ে। রেখে দিন ডিপ ফ্রিজে।
৩. আম সংরক্ষণ করতে পারেন জিপলক ব্যাগে। এজন্য আম ছোট টুকরা করে কেটে জিপলক ব্যাগে নিয়ে নিন। মুখবন্ধ করে সামান্য একটু ফাঁকা রাখুন। ঐ ফাঁকা অংশ দিয়ে স্ট্র ঢুকিয়ে ভেতরে থাকা বাতাস বের করে মুখ পুরোপুরি সিল করে দিন। রেখে দিন ফ্রিজারে।
৪. আমের পিউরি করে সংরক্ষণ করতে পারেন। এজন্য ব্লেন্ডারে মসৃণ করে ব্লেন্ড করে বরফ জমানোর ট্রেতে করে রেখে দিন ডিপ ফ্রিজে। ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পর বের করে ট্রে থেকে আমের বরফগুলো আলাদা করে নিন। সেগুলো জিপলক ব্যাগে নিয়ে বাতাস বের করে সিল করে দিন। রেখে দিন ডিপ ফ্রিজে।
৫. আমের খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরা করে নিন। জিপলক ব্যাগে পাশাপাশি রাখুন টুকরাগুলো। একটার উপর আরেকটা রাখবেন না। এক ব্যাগে না রেখে অল্প অল্প করে কয়েকটি ব্যাগে রাখুন। স্ট্র দিয়ে ভেতরের বাতাস বের করে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। ছয় মাস পর্যন্ত স্বাদ ও পুষ্টিগুণ অটুট থাকবে আমের।
৬. আম ব্লেন্ড করে বরফের ট্রে বা ছোট মুখ বন্ধ বাটিতে অল্প পরিমাণে নিয়ে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। বরফ জমে গেলে কিউবগুলো বের করে জিপলক ব্যাগে নিয়ে ফ্রিজারে রেখে দিন আবারও। বছরজুড়ে খেতে পারবেন আম।
৭. আস্ত আম সংরক্ষণ করতে চাইলে প্রথমে কাগজের ব্যাগে ঢুকিয়ে নিন আম। এবার ব্যাগটি একটি কাপড়ের ব্যাগে ঢুকিয়ে মুখ বন্ধ করে দিন। কাপড়ের ব্যাগটি পলিথিন ব্যাগে ঢুকিয়ে রেখে দিন ডিপ ফ্রিজে। অনেকদিন পর্যন্ত টাটকা থাকবে আম।
৮. চাইলে মোরব্বা, আমসত্ত্ব কিংবা আচার বানিয়েও আম সারা বছর খেতে পারেন।