ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর দেশটিতে আগাম নির্বাচনে খেল দেখাচ্ছেন সংস্কারবাদী নেতা মাসুদ পেজেসকিয়ান। পেশায় হার্ট সার্জন ছিলেন তিনি। কিন্তু নাম লিখিয়েছেন রাজনীতিতে। সামলেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং ডেপুটি স্পিকারের মতো পদও।
নির্বাচনপূর্ব জরিপে উঠে এসেছে, পেজেসকিয়ানের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। গত কয়েক দশকে ইরানে যিনিই ক্ষমতায় এসেছেন, তিনিই তীব্র যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী মনোভাব পোষণ করেছেন। তবে এবার সেই ছন্দে পতন ঘটতে পারে। পেজেসকিয়ান নির্বাচনে জয়ী হলে বদলে যেতে পারে ইরানের পররাষ্ট্রনীতি।
সম্প্রতি তিনি জানিয়েছিলেন, নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করবেন তিনি। শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, ইসরায়েল ছাড়া বাকি সব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করতে চান পেজেসকিয়ান।
কট্টরপন্থি সাইদ জলিলির সঙ্গে পেজেসকিয়ানের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও অনেকটাই এগিয়ে পেজেসকিয়ান। এখন পর্যন্ত ৫৩ লাখ ৫৪ হাজার ভোট পেয়েছেন এই সংস্কারবাদী নেতা।
তার কাছাকাছি আছেন জলিলি। তিনি এখন পর্যন্ত পেয়েছেন ৪৮ লাখ ৭৫ হাজার ২৬৯ ভোট। ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত আনুষ্ঠানিক পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
জরিপে দেখা গেছে, শুক্রবারের ভোটাভুটিতে স্পষ্ট বিজয়ী হচ্ছেন পেজেসকিয়ান। ইরানের রিপাবলিকান গার্ডের জরিপ বলছে, নির্বাচনে কমপক্ষে ৩৭ শতাংশ ভোট পাবেন সংস্কারবাদী পেজেসকিয়ান। মাশহাদের ফেরদৌসি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত আরেকটি জরিপেও এগিয়ে রয়েছেন তিনি।
জরিপ বলছে, নির্বাচনে ৪২.৩ শতাংশ ভোট পাবেন পেজেসকিয়ান। তবে নির্বাচনে কোনো প্রার্থীই ৫০ শতাংশ ভোট না পেলে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন হবে ৫ জুলাই।