স্বামীর পুরুষাঙ্গ কর্তন করার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। স্ত্রী নাসরিন বেগমকে (২০) আটক করেছে পুলিশ। বরগুনার আমতলীতে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্বজনরা আহত স্বামী জাহিদুল ঘরামীকে (২৮) উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। রোববার গভীর রাতে আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের উত্তর ডালাচারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আমতলী থানার ওসি কাজী সাখওয়াত হোসেন তপু।
জানা যায়, ২০২১ সালে বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের উত্তর ডালাচারা গ্রামের আবুল কালাম আজাদ (কালাই) ঘরামীর ছেলে জাহিদুল ঘরামীর সঙ্গে পটুয়াখালীর গেরাখালী গ্রামের মজিবর মাদবরের মেয়ে নাসরিন বেগমের বিয়ে হয়। তাদের একটি ৭ মাসের ছেলে সন্তান রয়েছে।
বিয়ের পর থেকে জাহিদুল এক নারীর সঙ্গে অনৈতিক সর্ম্পক গড়ে তোলেন। গত জানুয়ারি মাসে গোপনে ওই নারীকে তিনি বিয়ে করেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। স্বামী জাহিদুল প্রথম স্ত্রীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে মেনে নিতে চাপ দেয়। এতে রাজি হয়নি নাসরিন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে স্বামী জাহিদুল স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন।
গতকাল গভীর রাতে নাসরিন বেগম ধারাল দা দিয়ে পুরুষাঙ্গ কর্তন করেন। এ সময় জাহিদুলের চিৎকারে স্বজনরা ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পান। পরে তারা জাহিদুলকে বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে যায়।
অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। খবর পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ রাতেই স্ত্রী নাসরিনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখওয়াত হোসেন তপু বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে স্ত্রী নাসরিনকে রাতেই আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
পুরুষাঙ্গ হারানো জাহিদুলের বাবা বলেন, আমার ছেলের এই করুণ পরিণতির জন্য ছেলের বউ নাসরিন দায়ী। আমি এ ঘটনায় শাস্তি দাবি করছি।