চেক জালিয়াতি মামলায় লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দোলাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
গত ২৫জুন তিনি টাঙ্গাইল জেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠায়। এখবর লালমনিরহাটে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা ঝড় উঠে। অনেকেই ওই শিক্ষকের অজানা আরও অপকর্ম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) পোস্ট দিচ্ছেন।
জানাগেছে, টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার বীরসিংহ এলাকার মৃত হবিবর রহমানের ছেলে হারুর অর রশীদের কাছ থেকে পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে ৫লাখ টাকা ধার নেন প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন।
নির্ধারিত সময়ে টাকা ফেরত না দিলে পাওনাদার হারুর অর রশীদ টাকার জন্য চাপ দেয়। তখন ওই প্রধান শিক্ষক কৌশলে ৫লাখ টাকা উল্লেখ করে তার স্ত্রী রওশন আরা রেনুর নামে ব্যাংক একাউন্টের একটি চেক দেন। পরে ব্যাংকে গিয়ে জানা যায় একাউন্ট স্ত্রীর নামে আর ওই একাউন্টে কোন টাকা নেই। পরে পাওনাদার হারুর অর রশীদ টাঙ্গাইল আদালতে মামলা দেন। ওই মামলায় জালিয়াতি প্রমাণিত হলে প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিনকে কারাগারে পাঠান আদালতের বিচারক।
এছাড়াও ওই প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিনের নামে লালমনিরহাট আদালতে কোটি টাকা চেক জালিয়াতির একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
উল্লেখ, আদিতমারী উপজেলা বারঘরিয়া এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে শাহজালালের কাছ থেকে সাড়ে ৯লাখ টাকা, রংপর মাস্টারপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে মমিনুর রহমানের কাছ থেকে ১০লাখ টাকা, রংপুর পীরগাছা জাহাঙ্গীরাবাদ এলাকার মৃত নজীর হোসেনের ছেলে আতোয়ার হোসেনের ছেলের কাছ থেকে ২২লাখ টাকা, আদিতমারী উপজেলা মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল ওহাব এর কাছ থেকে ১৫লাখ টাকাসহ বিভিন্নভাবে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চেক দেয়। কিন্তু ভুক্তভোগীরা ব্যাংকে গিয়ে দেখে ওই একাউন্টে কোন টাকা নেই। এভাবে ওই প্রধান শিক্ষক কোটি টাকারও বেশি আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।