মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল ঘোষণার পরপরই পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শাহবাগে অবস্থানের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে কোটা পদ্ধতি বাতিল চাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের কলাপসিবল গেট আটকে শিক্ষার্থীদের বেরোতে বাধা দিচ্ছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ফলে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা।
বেলা ১১টায় কোটা আন্দোলনের মিছিল হওয়ার কথা থাকলেও প্রোগ্রামের অজুহাত দিয়ে কিংবা সরাসরি বাধা দিয়ে ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংশ্লিষ্ট হতে বাধা দিচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের গেটে অবস্থান নিয়েছে ছাত্রলীগের ক্যান্ডিডেটরা, সূর্যসেন হল গেট তালা লাগিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং বের বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। জসিম উদ্দিন হলের চারতলায় আটকে রাখা হয়েছে শিক্ষার্থীদেরকে।
হলের শিক্ষার্থীরা এক জোট হয়ে মিছিল নিয়ে হলগেটে আসে কিন্তু ছাত্রলীগ নেতারা তাদের ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে হুমকি দেয়। একইসঙ্গে হলগেটে তালা মেরে দেয়।
সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি মাহফুজুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাকিল হোসেন, ঝুমা সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুন্সী রাকিব হোসেন, সহসভাপতি মনির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ খান শৈশব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুজ্জামান অভি, যুবরাজ, প্রচার সম্পাদক ফয়সালসহ অনেকে এই কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেয়।
হলের গেটে তালা
ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী জাবেদ বলেন, আমরা আমাদের দাবি আদায়ের আন্দোলনে যেতে চাই কিন্তু ছাত্রলীগ হল থেকে বের হতে দিচ্ছে না। ভিতরের ও বাহিরের গেট আটকে দিয়েছে। তারা হলগেটে অবস্থান করছে। যারাই হলগেটে যাচ্ছে তাদেরকে ফিরিয়ে দিচ্ছে।
এক শিক্ষার্থী বলেন, সূর্যসেন হলে আমাকেও আটকিয়েছিল। তারা বলে এক ঘণ্টার জন্য বের হওয়া যাবে না। পরে বলছি আমি মুহসীন হলের। তারপরও জেরা করেছে। পরে জার্সিতে মুহসীন হল লিখা দেখে আমাকে ছাড়ে।
হলের গেটম্যান বলেন, আমরা গেটের দায়িত্বে আছি ঠিকই কিন্তু হলগেটে ছাত্রলীগ তালা মেরেছে। পোলাপানদের মিছিলে যেতে না করেছে। এখন হল চালায় ছাত্রলীগ আমাদের কাছে নিয়ন্ত্রণ নেই।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, শিক্ষার্থীদের বাধা দেওয়ার বিষয়টি বানোয়াট। যেহেতু কোটা পদ্ধতি থাকবে নাকি থাকবে না তা সম্পুর্ণ আইনগত বিষয়। যেহেতু বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ায় আছে।