জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত মহিলা চিকিৎসক জানিয়েছেন তার সঙ্গে ওই যুবকের সম্পর্ক ছিল গত দুবছর ধরে। এরমধ্যে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছেন। কিন্তু, যতবারই নিয়ে করার কথা হয়েছে ততবারই যুবক এড়িয়ে গিয়েছে।
বিয়ে করতে অস্বীকার করায় প্রেমিককে ভয়ঙ্কর শাস্তি দিলেন মহিলা চিকিৎসক। কেটে নিলেন প্রেমিকের গোপনাঙ্গ। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারে সারন জেলায়। ঘটনায় গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ওই যুবক। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় পুলিশ মহিলা চিকিৎসককে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত মহিলা চিকিৎসক জানিয়েছেন তার সঙ্গে ওই যুবকের সম্পর্ক ছিল গত দুবছর ধরে। এরমধ্যে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছেন।
কিন্তু, যতবারই নিয়ে করার কথা হয়েছে ততবারই যুবক এড়িয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি, ফের তাদের মধ্যে রেজিস্ট্রি বিয়ের দিন ঠিক হয়। কিন্তু, তারপরেও বিয়ে করতে অস্বীকার করেন যুবক। তা নিয়ে বচসার জেরে ওই মহিলা চিকিৎসক যুবকের যৌনাঙ্গ কেটে দেন বলে অভিযোগ।
ঘটনার খবর পেয়ে সারন জেলার মারহাউরা থানার পুলিশ যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রথমে একটি স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় পাটনার সৃষ্টি হাসপাতালে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি একটি স্থানীয় আদালতে তাদের বিয়ের কথা ছিল। কিন্তু, মহিলা চিকিৎসক আদালতে পৌঁছলেও ওই যুবক সেখানে পৌঁছননি। তাতে গভীরভাবে মানসিক আঘাত পেয়েছিলেন মহিলা চিকিৎসক। এরপর তিনি তার প্রেমিককে নিজের ক্লিনিকে ডাকেন। অভিযোগ, সেখানে প্রথমে যুবকের তার উপর হামলা চালানো হয়। এরপর তাকে কোনওভাবে ইঞ্জেকশন দিয়ে অচেতন করে যৌনাঙ্গ কেটে দেন মহিলা।
ঘটনায় যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠে। রক্তে ভেসে যাচ্ছিল তার শরীর। ইতিমধ্যে যুবকের পরিবারের তরফে মহিলা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগে দায়ের করা হয়েছে। তার ভিত্তিতে পুলিশ মহিলা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে খুন সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে।
চিকিৎসকের অভিযোগ, এভাবে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বারবার যৌন সঙ্গমের ফলে তিনি বেশ কয়েকবার গর্ভবতী হয়েছিলেন। কিন্তু, তারপরে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন তার প্রেমিক। ওই যুবক তাকে গর্ভপাত করতে বাধ্য করে। মহিলা চিকিৎসক পুলিশকে জানিয়েছেন প্রেমিকের চাপে তিনি দুবার গর্ভপাত করেছেন।