যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে দেশটির উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলীয় ব্ল্যাকবার্নে লেবার পার্টির প্রার্থী কেট হলার্নকে হারিয়ে চমক দেখিয়েছেন ফিলিস্তিনপন্থি স্বতন্ত্র প্রার্থী আদনান হোসেইন।
গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধ নিয়ে লেবার পার্টির অবস্থান নিয়ে দলটির অনেক ভোটারের মধ্যে যে বিভক্তি ও অসন্তোষ রয়েছে, স্বতন্ত্র প্রার্থী আদনানের জয়ে তারই প্রতিফলন হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।
রাজনীতিতে নতুন আসা আদনান ভোট পেয়েছেন ১০ হাজার ৫১৮টি। আর পরাজিত প্রার্থী হলার্ন পেয়েছেন ১০ হাজার ৩৮৬ ভোট। অর্থাৎ, ১৩২ ভোটে হলার্নকে হারিয়ে দেন আদনান। ব্ল্যাকবার্ন আসনটিতে ৬৯ বছর ধরে প্রতিনিধিত্ব করছেন লেবার পার্টির আইনপ্রণেতারা।
৩৪ বছর বয়সী আদনান পেশায় আইনজীবী। নির্বাচনে গাজাপন্থি প্ল্যাটফর্ম থেকে দাঁড়ান তিনি। তাকে সমর্থন দেয় সাবেক লেবার কাউন্সিলরদের একটি দল। লেবার দলের গাজা নীতিকে ঘিরে দলটি থেকে সরে যান এই কাউন্সিলররা।
গত জুনের মাঝামাঝি আদনান বলেছিলেন, সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার ব্যাপারে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
ব্ল্যাকবার্নে লেবার প্রার্থী হারলেও, নির্বাচনের আগে পরিচালিত জনমত জরিপ এবং বুথফেরত জরিপই শেষ পর্যন্ত সত্যি হয়েছে। যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে কেয়ার স্টারমারের নেতৃত্বে ভূমিধস জয় পেয়েছে লেবার পার্টি।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত লেবার পার্টি ৪১১টি আসনে জয় পেয়েছে। অন্যদিকে ঋষি সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছে ১১৯ আসন। লিবারেলে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি জয় পেয়েছে ৭১টি আসনে। এখনো ৫টি আসনের ফল প্রকাশ বাকি।
যুক্তরাজ্যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে কোনো দলের ৩২৬ আসনের প্রয়োজন। লেবার পার্টি এরই মধ্যে ৪১১ আসনে জয় নিশ্চিত করায় পতন হয়েছে ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা কনজারভেটিভ পার্টির। কেয়ার স্টারমার হচ্ছেন যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী। এরই মধ্যে পরাজয় স্বীকার করে স্টারমারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ঋষি সুনাক।