গত এক যুগে বাংলাদেশে মোট সরকারি ক্রয়ের প্রায় ৭০ শতাংশই ই-জিপির মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে। ই-জিপি সিস্টেম ব্যবহারে প্রতিবছর ৬০০ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হচ্ছে। দরপত্রদাতাদের ভ্রমণ দূরত্ব কমেছে ৪৯দশমিক ৭ মিলিয়ন কিলোমিটার। ১০৫ কোটি ৩০ লাখ পাতা কাগজ সাশ্রয় হয়েছে।
কার্বন নিঃসরণ কমেছে ১কোটি ৫৩লাখ ৫৫৯ টন। এছাড়া ই-জিপি চালুর ফলে সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়াকরণের গড় সময়ে ১০০ দিন থেকে ৫৭ দিনে নেমে এসেছে। দরপত্রের বৈধতার প্রাথমিক মেয়েদের মধ্যে ৯৬ শতাংশ চুক্তি সম্পাদন নোটিশ ইস্যু করা হচ্ছে। ১০০ শতাংশ দরপত্রের বিজ্ঞপ্তি ও চুক্তি সম্পাদন নোটিশ ই-জিপি সিস্টেমে প্রকাশ করা হচ্ছে।
পটুয়াখালীতে বিপিপিএ'র কার্যাবলী এবং ই-জিপি বিষয়ক সচেতনতামূলক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে এসব তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (যুগ্মসচিব) মোঃ নাছিমুর রহমান শরীফ।
“শেখ হাসিনার উপহার ইলেকট্রনিক টেন্ডার” এই প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে এবং ই-জিপি সিস্টেম আরও সহজ ও গতিশীল করার লক্ষ্যে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক দরবার হলে রবিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোঃ নূর কুতুবুল আলম।
বিসিসিপি এর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুস সালাম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় জেলার বিভিন্ন সরকারি ক্রয়কারী কার্যালয়ের প্রতিনিধিবৃন্দ, দরদাতাগণ, ব্যাংকের প্রতিনিধি, সাংবাদিকগণ, কর্মশালার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় যুক্ত বিসিসিপি'র প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।