শেরপুরের নকলায় অটোচালককে ছুরিকাঘাত করে অটো ছিনতাই চেষ্টায় অপরাধে চক্রের ২ কিশোর সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
৭জুলাই রবিবার রাতে নকলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। আটককৃতরা হলো নকলা থানার কেজাইকাটা পূর্বপাড়ার মোঃ সেতু মিয়ার ছেলে মোঃ সাকিবুল হাসান জয় (১৬) ও বালিয়াদী মধ্যপাড়ার মোঃ আব্দুল বারেকের ছেলে মোঃ তানভীর বর্ণ (১৫)।এছাড়াও এ ঘটনায় জড়িত একই গ্রামের মোঃ বুলবুলের ছেলে মোঃ সিয়াম (১৭) এর নাম প্রকাশ করেছে। সিয়ামকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এবিষয়ে ৮জুলাই সোমবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন পিপিএম।
প্রেস ব্রিফিং এ পুলিশ সুপার জানান, গ্রেফতকৃতরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে অটো ছিনতয়ের পরিকল্পনা করে। পরে পরিকল্পনা মোতাবেক রবিবার রাতে নকলা থানার চন্দ্রকোনার মৃত হাছেন আলীর ছেলে ওসমান মিয়ার (৬০) অটো ভাড়া করে। তারা প্রথমে বানেশ্বরদী ইউনিয়নের মিলন বাজার যায়।
রাত সোয়া একটার দিকে সেখান থেকে বাউশাগামী রাস্তায় একটি কালভার্টের কাছে পৌঁছে। পরে সেখান থেকে তাকে বানেশ্বরদী বাজারে যেতে বলে। এতো রাতে সেখানে যেতে অস্বীকার করলে তারা চালককে হত্যার উদ্দেশ্যে চাকু নিয়ে তার উপর হামলা করে।
হামলায় গুরুতর আহত চালক ওসমানকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করা হয়। সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করেন। সেখানে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন ওসমান মিয়া।
এ ঘটনায় ওসমান মিয়ার ছোটভাই মোঃ আক্কাস আলী বাদী হয়ে নকলা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ খোরশেদ আলম (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত),অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস)মো: আরাফাতুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ সাইদুর রহমান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: এমদাদুল হক সহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।