রেললাইনের পাশে পড়ে থাকা ৫ যুবকের মরদেহ নিয়ে ‘রহস্যের’ সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের কেউ ধারণা করছেন, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ‘তূর্ণা নিশিতা’ এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান তারা। আবার কেউ বলছেন, হত্যার পর তাদের লাশ এখানে ফেলে গেছেন কেউ!
রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. শহীদুল্লাহ জানিয়েছেন, আজ সকাল ৬টার দিকে উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের খাকচক দক্ষিণপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল চিটাগাং মেইল ট্রেন। এ সময় ট্রেনে কাটা পড়ে তারা নিহত হন। তারা জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রেললাইনের পাশে পাঁচটি মরদেহ ছিন্নবিচ্ছিন্ন অবস্থায় দেখতে পান তারা। খবর পেয়ে পুলিশ সকাল ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ শনাক্তের চেষ্টা করে। নিহতদের সকলেই পুরুষ। তাদের বয়স ২০-৩২ বছরের মধ্যে।
স্থানীয় বাসিন্দা প্রবীর কুমার সাহা বলেন, ‘আমি প্রতিদিন ভোরে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হাটাহাটি করি। রায়পুরা স্টেশনের পাশের রাস্তাটি দিয়ে আমার যাওয়া আসা। কোনো দিনই দেখিনি রেল লাইনের লোহাড় বেড়ার ভেতর দিয়ে মানুষকে চলাচল করতে। পাশেই একটি রাস্তা রয়েছে, সেখান দিয়েই মানুষ চলাচল করেন। আজ সকালে সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় আমি লাশগুলো দেখতে পাই। লাশগুলোর একটি থেকে অন্যটির দূরত্ব দেখে আমার মনে হয়েছে, তাদের অন্য কোথাও মেরে রেল লাইনের পাতে এনে ফেলে রেখেছে। ট্রেন যাওয়ার সময় লাশগুলো ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়েছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা সোহেল রানা বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে রায়পুরা স্টেশন এলাকায় বসবাস করি। কিন্তু, কখনো এত মানুষের এমন মৃত্যু দেখিনি। তারা কীভাবে মারা গেছে বুঝতে পারছি না। সকালে উঠে লাশ দেখতে পাই। মনে হচ্ছে, হত্যার পর তাদের লাশ কেউ এই জায়গায় ফেলে গেছে।’
নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশের ইনচার্জ (উপ-পরিদর্শক) মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ‘রেললাইনের পাশ থেকে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত শেষে বলা যাবে তারা ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন, নাকি কেউ তাদের হত্যার পর লাশ এখানে ফেলে গেছে।’
ফরহাদ নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘সকালে রেললাইনের পাশে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দিই। ধারণা করছি, রাতে ট্রেনে কাটা পড়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু, একসঙ্গে এত মানুষ কীভাবে মারা গেলেন মাথায় আসছে না।’