লক্ষ্মীপুরে এক সৌদি প্রবাসীর বাতঘরে ঢুকে ডাকাতি করতে করার সময় নাজমুন নাহার (৫০) নামে এক নারীকে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের মিয়ারবেড়ী এলাকায় নুরু মাষ্টার বাড়িতে সোমবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাতের কোন একসময় ঘটনাটি ঘটে। রাতে বাড়িতে নাহার একাই ছিলেন।
তিনি মিয়ারবেড়ী এলাকার সৌদি প্রবাসী মো. নুরুজ্জামানের স্ত্রী।
খবর পেয়ে সকাল ৮ টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সোহেল রানা ও সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
বাড়ির লোকজন জানায়, মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ভোরে প্রতিবেশিরা ঘর থেকে বের হয়ে ওই বাসার দরজা খোলা দেখে ভেতরে প্রবেশ করে হাত-পা বাঁধা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে প্রতিবেশিরা তার দুই মেয়েসহ স্বজনদের খবর দেয়।
তারা আরও জানায়, নাহারের দুই মেয়ে বিবাহিত। মেয়েরা স্বামীর বাড়িতে থাকে। নাহারের স্বামী নুরুজ্জামান কর্মস্থল সৌদিতে আছেন। এতে বাসায় তিনি একাই থাকেন। সোমবার রাতের কোন একসময় বাসার পাশের আমড়া গাছ দিয়ে উপরে উঠে ভেন্টিলেটর ভেঙে ডাকাতরা ঘরে ঢুকে। পরে নাহারকে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। একপর্যায়ে ডাকাতদল বাসায় থাকা স্বর্ণালংকার, টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে পালিয়ে যায়। তবে কি পরিমাণ জিনিসপত্র নিয়ে গেছে ডাকাতরা তা সঠিক তথ্য দিতে পারেনি কেউ।
নাহারের মেয়ে জামাই দুবাই প্রবাসী মো. নজীর জানান, তার শ্বাশুড়ি একাই বাসায় থাকতেন। ডাকাতরা ভেন্টিলেটর ভেঙে বাসায় ঢুকে তার শ্বাশুড়িকে হত্যা করেছে। বাসায় থাকা স্বর্ণালংকার ও টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে গেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সোহেল রানা বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনাটি তদন্ত চলছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।