যশোরের কেশবপুর উপজেলার বরণডালী গ্রামের ৫ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আওয়ামী লীগ নেতা শেখ তৈয়বুর রহমান মিলন এর বাড়ি থেকে কলারোয়া থানার তরুলিয়া গ্রামের প্রবাসী রফিকুল গাজীর প্রায় ২ লক্ষ টাকার এড়ে গরু উদ্ধার হয়।
উদ্ধার হওয়ার পর রফিকুল গাজীর স্ত্রী রেবেকা বেগম বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় মিলনসহ চারজনকে আসামি করে একটি চুরির মামলা করেন যার নাম্বার-৬ /-৫/৭/২৪ ইং।
গতকাল ০৮ জুলাই সোমবার সকালে মিলন মেম্বার সাতক্ষীরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিতে গেলে বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় বরণডালি এলাকায় সাধারণ মানুষের ভিতরে একটি স্বস্তি বিরাজ করছে। তাদের দাবি তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরো অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে।
উল্লেখ্য কেশবপুরের পার্শ্ববর্তী কলারোয়া উপজেলার যুগীখালী ইউনিয়নের তরুলিয়া গ্রামের প্রবাসী রফিকুল ইসলাম গাজীর প্রায় ২লক্ষ টাকা মূল্যের একটি বিদেশী জাতের গরু গত সোমবার রাতে গোয়াল থেকে সংঘবদ্ধ চুরি হয়।
অনেক খুঁজাখুঁজির পর নির্ভরশীল একটি সূত্রে জানতে পারে, তার চুরি যাওয়া গরুটি পার্শ্ববর্তী কেশবপুরের বরণডালী গ্রামের সাবেক মেম্বর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ তৈবুর রহমানের বাড়িতে রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার প্রবাসীর স্ত্রী স্থানীয় লোকজনদের সঙ্গে নিয়ে গরু উদ্ধারে প্রথমে ঐ আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে ঢুকতে গেলে তাদেরকে বাড়িতে প্রবেশ করতে না দিয়ে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকী দেয়। পরে অবস্থা বে-গতিক দেখে তারা তার বাড়িতে ঢোকার আগেই নিজেকে চোরের অপবাদ থেকে রক্ষা করতে সুকৌশলে তার গোয়াল থেকে ঐ চুরাই গরুটি তার লোক দিয়ে বাড়ির বাইরে ছেড়ে দিয়ে আসে।
পরে স্থানীয় চৌকিদার ও জনগণ দিয়ে ঐ নেতার বাড়ির পাশ থেকে গরুটি উদ্ধার করা হয়। গরু উদ্ধারের পর ক্ষুব্দ এলাকাবাসী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মেম্বর তৈবুরকে আইনের আওতায় এনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই গরু চুরির আসল রহস্য ও চুরির সাথে কারা কারা জড়িত আছে তা জানা যাবে। চুরি হওয়া গরু পরবর্তীতে প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি গরুর মালিক কে গরু টি বুঝিয়ে দেন।