প্রতিবারই তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বাড়িতে নিজের ঘরে সাপের কামড়ের শিকার হওয়ার পর জানা গেল, দুবের বাড়িতে সাপের উপদ্রব বেড়েছে। তখন স্বজনদের পরামর্শে তিনি বাড়ি ছেড়ে রাধানগরে তাঁর ফুফুর বাসায় থাকতে শুরু করেন।
ফতেহপুর জেলার সৌরা গ্রামের বাসিন্দা বিকাশ দুবে। গত ২ জুন নিজের ঘরেই প্রথম সাপের কামড়ের শিকার হন তিনি। বিকাশ দুবে সপ্তমবার সাপের কামড়ের শিকার হবার পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল।
প্রথমবার দুবেকে সাপে কামড়ানোর ঘটনাটি ঘটে গত ২ জুন। বাড়িতে বিছানা থেকে নামার পরই তাকে সাপে কামড় দেয়। দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয় তাকে। এরপর বাড়িতে আরও তিনবার সাপের কামড়ের শিকার হন তিনি।
চতুর্থবার সাপে কাটার পর বাড়িতে সাপের উপদ্রব বেড়েছে বলে দুবেকে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। স্বজনদের পরামর্শে তিনি বাড়ি ছেড়ে রাধানগরে তার ফুফুর বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। কিন্তু নিজের বাড়ি ছেড়েও রেহাই মেলেনি দুবের। আবার তাকে সাপে কামড় দেয়। এরপর চিকিৎসা শেষে দুবের বাবা-মা তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন।
বারবার থাকার জায়গা বদলের পরও লাভ হয়নি। গত ৬ জুলাই পৈতৃক বাড়িতে ফেরার পর ষষ্ঠবার সাপের কামড়ের শিকার হন দুবে। এরপর তাকে পাঠানো হয় মামার বাড়ি।
দুবের বারবার সাপের কামড়ের বিষয়ে উদ্বিগ্ন পরিবার জানায়, তারা একটি পূর্বাভাস পেয়েছিল যে বিকাশকে নয়বার সাপ কামড় দেবে এবং সে কেবল অষ্টমবার পর্যন্ত বেঁচে থাকবে। নবম বার কামড় দিলে কোন ডাক্তার, পুরোহিত বা তান্ত্রিকই আর তাকে বাঁচাতে পারবে না।
বারবার সাপের কামড়ের শিকার বিকাশ দুবে বলেন, প্রতিবারই তাকে শনি বা রোববার সাপে কামড়েছে। প্রতিবারই সাপের কামড়ের আগে তার মধ্যে এক ধরনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল।
তার সপ্তম সাপের কামড়ের পর চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, তার অবস্থা পুরোপুরি মূল্যায়ন করতে আরও ১২-২৪ ঘণ্টা সময় লাগবে। দুবের চিকিৎসক ডা. জওহর জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে রোগীর অবস্থার উল্লেখযোগ্য অবনতি হয়েছিল। তবে তিনি এখন স্থিতিশীল। তিনি দুবের সার্বিক স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের সাথেও পরামর্শ করার জন্য পরিবারকে অনুরোধ করেন।
দুবে আগের ঘটনাগুলোতে সাপের চেহারা বর্ণনা করতে পারলেও, সপ্তমবারে তাকে কেমন ধরণের সাপে কামড়েছে, তা জানাতে পারেননি বলেও জানান চিকিৎসক।