স্টিলের তৈরি বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় পিকনিকের নৌকা ডুবির ২ দিন পর নিখোঁজ দুই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এরা হলেন সাটুরিয়া উপজেলার বাহির কামতা গ্রামের মৃত দানেজ আলীর পুত্র রাজমিস্ত্রি রফিকুল ইসলাম (৩৭) ও বালিয়াটি ঈশ্বরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র মোঃ রুবেল। সে সাটুরিয়া উপজেলার উত্তর কাউন্নারা গ্রামের সেলিম হোসেনের পুত্র।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকালে ঘিওর উপজেলার ধলেশ্বরী নদী থেকে তাদের মরদ হোক উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। এর আগে মঙ্গলবার মিলন নামে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র নিহত হন। বাল্ক হেডের ধাক্কায় সে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাত সাড়ে ১০ টায় ঘিওর উপজেলার কালিগংগা নদীর কুসুন্ডা পয়েন্টে বালুবাহী বাল খেতের এই ঘটনা ঘটে বাল্কহেডের ধাক্কায় পিকনিকের নৌকা ডুবে যায়।
স্থানীয়রা জানায়, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার জান্না এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রায় ৬০ জন লোক যমুনা নদীতে নৌকা ভ্রমনে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে ঘিওর উপজেলার সিংজুড়ি ইউনিয়নের কুসুন্ডা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা বিশাল আকৃতির বালু বহনকারী বাল্কহেড সজরে ধাক্কা মারে। এতে পিকনিকের নৌকার তলা ফেটে ডুবে যায়।
এ বিষয়ে ঘিওর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস জানান, পিকনিকের নৌকা ডুবির ঘটনা এ পর্যন্ত তিনজন নিহত হয়েছে। নিহতদের লাশ উদ্ধার করে পরিবারের নিকট হস্তক্ষেপ করা হয়েছে।