বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে অগ্নিসংযোগ ও নাশকতায় ক্ষতিগ্রস্ত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক কার্যালয় পরিদর্শন করেছেন সিটি মেয়র জায়েদা খাতুন।
সোমবার বেলা এগারোটার দিকে টঙ্গীর অঞ্চল ১ এর আগুনে পুড়িয়ে দেয়া বিভিন্ন যানবাহন ও ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা ঘুরে দেখেন তিনি। এসময় তার সঙ্গে সিটি করপোরেশনের সচিব আব্দুল হান্নান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ জোনের উপ কমিশনার ইব্রাহিম খানসহ সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শনকালে মেয়র বলেন, আমি ক্ষতিগ্রস্ত নগর ভবন পরিদর্শন করেছি। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে বিস্তারিত জানাতে পারব। আমার ছেলে আহতাবস্থায় সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন। তার জন্য ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য আপনাদের দোয়া চাই।
হামলা ও অগ্নিসংযোগের সেদিনের বিভিষিকার কথা স্মরণ করে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, মুখোশধারী একদল লোক লাঠিসোটা নিয়ে সিটি ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। চোখের সামনে সব কিছু জ্বালিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তারা।
সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, ২০ জুলাই গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গী আঞ্চলিক কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুর করা হয়। এসময় ময়লাবাহী ৬টি গাড়ি, ময়লা পরিষ্কারের কাজে ব্যবহৃত ২টি হুইল লোডার, রোলারসহ ১৪ টি যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়, ভাঙচুর করা হয় ৮ টা যানবাহন। একই সময়ে টঙ্গীর ডেসকো বিদ্যুৎ সাবস্টেশন পুড়িয়ে দেয়া হয়। এছাড়া রাতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জায়েদা খাতুনের বাসভবনে হামলা ও ভাংচুর চালানো হয়।
এর আগে উত্তরা এলাকায় সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর সহ তান্ডব চালায় নাশকতাকারীরা। তাদের হামলায় আহত হন জাহাঙ্গীর আলম। পিটিয়ে হত্যা করা হয় তার সহযোগী জুয়েল মোল্লাকে। পরে জাহাঙ্গীর আলমকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়।