ডিবি হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে খুব শিগগিরই তাদের পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হবে জানালেন ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ। আজ (সোমবার) দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহকে শনিবার সন্ধ্যায় হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে মিরপুরের একটি বাসা থেকে নুসরাত তাবাসসুমকে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তার স্বজনরা।
এক ফেসবুক পোস্টে হারুন অর রশীদ লিখেছিলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। তাই ওদের ডিবি কার্যালয়ে এনে তাদের সাথে কথা বললাম। কি কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, ওদের কথা শুনে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের নানা পরিকল্পনার কথা জানানোর পর তাদের উদ্বেগ দূর হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টিম ডিবি ডিএমপি বদ্ধপরিকর।
গত শুক্রবার বিকালে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন থাকা তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকেরকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদেরও নিরাপত্তার কারণে হেফাজতে নেওয়া হয় বলে গত শুক্রবার রাতে ডিবি জানায়।
প্রসঙ্গত, গতকাল রোববার (২৮ জুলাই) রাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে আলোচনা শেষে ডিবি কার্যালয় থেকে এক ভিডিও বার্তায় আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম। এসময় অন্য পাঁচ সমন্বয়ক তার সঙ্গে ছিলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ও তার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনেকে অপ্রত্যাশিতভাবে আহত ও নিহত হয়েছেন। তাছাড়া রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় অগ্নিসংযোগসহ নানা সহিংস ঘটনা ঘটেছে। আমরা এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রধান দাবি ছিল কোটার যৌক্তিক সংস্কার, যা ইতোমধ্যে সরকার পূরণ করেছে। এখন শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানাই। সার্বিক স্বার্থে আমরা এই মুহূর্ত থেকে আমাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি।