কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার নীলফামারী সৈয়দপুরে সংঘাতের ঘটনায় বিশেষ নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছে ৩৫জন আসামী।
এর মধ্যে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থী মোঃ মিনহাজ পায়েল (২০) এর উজ্জল ভবিষ্যত চিন্তা করে সিনিয়র চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক সহদেব চন্দ্র রায় আজ শনিবার ০৩ আগষ্ট ২০২৪ইং তারিখে দুপুরে বিশেষ আদালত বসিয়ে মোঃ মিনহাজ পায়েলকে ৫০০ টাকা বন্ডে পুলিশ চারশীট না পাওয়া পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন।
মিনহাজ পায়েল (২০) সৈয়দপুর বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনইষ্টিউট থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করছেন। সে সৈয়দপুর উপজেলার নিয়ামতপুর বানিয়াপাড়া মোঃ ইমদাদুল হক এর পুত্র। মিনহাজ পায়েলকে তার নিজ বাসা থেকে ১৯শে জুলাই রাতে সন্ধেহভাজন আসামী হিসাবে গ্রেফতার করে সৈয়দপুর থানা পুলিশ।
বৈষম্যমূলক কোটা সংস্কারের দাবীতে ১৮ জুলাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে কর্মসূচি পালন করতে থাকে। এসময় পাঁচমাথা মোড়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ভু‚য়া ভু‚য়া বলে স্লোগান দিতে থাকলে এক সময় পুলিশের সাথে কোটা আন্দোলনকারীদের সাথে সংঘষ বাধে।
এসময় ট্রোফিক পুলিশ বক্স এ অগ্নি সংযোগ নাশকতা, মটর সাইকেলে অগ্নি সংযোগ, পুলিশ উপর চড়াও হওয়া, সরকারী কাজে বাধা প্রদান, সৈয়দপুরে রেল লাইনে অবরোধ, এএসআই (নিরস্ত্র) মোঃ রেজাউল হক সরকারকে জখম করে তার নামে ইস্যুকৃত সরকারী ৭.৬২ এমএম পিস্তল যাহার রাট নং- ০৯ এবং একটি ম্যাগজিন সহ ০৬ রাউন্ড গুলি ছিন্তাই করে।
পরবর্তীতে সৈয়দপুর থানা পুলিশ এর এসআই মোঃ আখতারুল করিম বাদী হয়ে সৈয়দপুর আমলী আদালত জি.আর ১৫৯/২৪ ধারা ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫-৩/২৪ এর (ঘ) তৎসহ ১৪৩/ ১৪৭/ ১৪৮/ ৩৩২/ ৩৩৩/ ৩০৭/ ৩৭৯/ ৩৫৩/ ৪২৭/ ৪৩৬/১১৪/৩৩৪ দন্ডবিধিতে মামলা করেন এর মধ্যে ৩৫জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ কর্মকর্তারা।
আসামী পক্ষের আইনজীবি অর্জুন বিশ্বাস জানান, এইচএসসি পরীক্ষার্থী মোঃ মিনহাজ পায়েল (২০) একে সন্ধিগ্ধ আসামী হিসাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে সৈয়দপুর বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনইস্টিউট থেকে চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করবে।
মোঃ মিনহাজ পায়েল এর বিরুদ্ধে ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে আসামী কি করছে তার কোন ব্যাখ্যা এজাহারে না থাকায় তার উজ্জল ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে পুলিশ চারশীট না আসা পর্যন্ত ৫০০ টাকা বন্ডে বিজ্ঞ আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।