অফিসিয়ালী যশোরে পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কিন্তু দৃশ্যত নেই। কোন টহল বা অভিযান নেই। তদন্ত কাজও বন্ধ রয়েছে।
কোতয়ালি থানায় হাতেগোনা কয়েকজন পুলিশ সদস্য, সেনাবাহিনীর কয়েকজন সদস্য আর কিছু আনসার সদস্য রয়েছে। একজন ডিউটি অফিসার সাথে একজন বকশি (অফিস সহকারী) দিয়ে চলছে থানার কার্যক্রম। অন্য কোন কর্মকর্তাদের দেখা মেলেনি। শনিবার থানায় মাত্র একটি মামলা রেকর্ড হয়েছে।
শনিবারও যশোরের রাস্তায় পুলিশ দেখা যায়নি। কোন ট্রাফিক পুলিশও ছিলো না। সাধারণ শিক্ষার্থীদের রাস্তায় বিচ্ছৃঙ্খলা ও যানবাহন চলাচলে সহযোগিতা করতে দেখা গেছে।
টানা এক সপ্তাহ ধরে রাস্তায় কোন পুলিশ নেই। পুলিশের কোন কাজকর্মও নেই। পুলিশ ছাড়া চলছে যশোর। শনিবার রাতে যশোর সদর উপজেলার আড়পাড়া ও চুড়ামনকাটিতে দুইটি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। কোন স্থানেই পুলিশের যায় নি। এলাকার লোকজন মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাাতলে পাঠিয়েছে।
যশোর সাধারণ মানুষ আছে চরম আতংকে। শহর ও গ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিনই নানা অপরাধের তথ্য সাংবাদিকরা পাচ্ছেন। অপরাধ সংঘটিত হলেও ভুক্তোভোগির অভিযোগের কোন জায়গা নেই। এলাকার লোকজন একত্রিত হয়ে সাধারণ মানুষ ভুক্তোভোগিদের পাশে দাড়াচ্ছে।
প্রতিদিনই ধারালো অস্ত্র, লাঠি সোটা নিয়ে এক শ্রেণির দুর্বৃত্ত্ব বিভিন্ন বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হানা দিচ্ছে। লুটে নিয়ে যাচ্ছে টাকা, গহনাসহ মূল্যবান সম্পদ।
প্রতিদিনই যশোরের কোন না কোন স্থনে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। ভুক্তোভোগিরা দুর্বৃত্ত্বদের পরিচয় জানতে পারলেও সংবাদকর্মীদের কাছে বলতে সাহস পাচ্ছে না। এক প্রকার অসহায় হয়ে পড়ছে। পুলিশ না থানায় নানা অসুবিধার কথাও বলেছেন তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেজপাড়া এলাকার এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, বিএনপির কিছু কর্মী রাত জেগে মহল্লা গুলো পাহারা দেয়ার কারনে অনেক অপরাধ কম সংঘটিত হচ্ছে। তাদের অবর্তমানে কিছু টোকাই শ্রেণির দুর্বৃত্ত্বরা বিভিন্ন বাড়িতে হানা দিচ্ছে।
এ বিষয়ে কোতয়ালি থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, পুলিশ এখনো বাইরে পোশাক পরিধান করে কাজ করতে ভয় পাচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকার অনেক থানা পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
মাঠে কাজ করার পুলিশ এখন আর মাঠে যেতে চাইছে না। তাদের দাবি সারা দেশে যত পুলিশ সদস্য হত্যা হয়েছে তাদের তালিকা তৈরি করে ক্ষতিপুরণ ও বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। এই বিষয়টি আইজিপি সাহেব দেখছেন। যত দ্রুত সম্ভব এই সমস্যার সমাধান হবে।
তিনি আরো বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আইন শৃঙ্খলবাহিনীর প্রয়োজন খুব বেশি। বিশেষ করে পুলিশ বাহিনী। পুলিশই যদি নিরাত্বহীনতাই ভোগে বা মার খাই, সেই পুলিশের কথা কী মানুষ শুনবে ? ফলে একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরী না হওয়া পর্যন্ত পুলিশের কাজের গতি কম।