পিরোজপুরে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. মারুফ হাসানসহ ৪ নেতাকে বহিস্কার করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিট।
গতকাল শনিবার রাতে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
বহিস্কৃত নেতারা হলেন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. মারুফ হাসান, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ বদিউজ্জামান রুবেল, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রিয়াজ শিকদার, জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব শামিম হাওলাদার।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোনায়েম মুন্না ও সাধারন সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম নয়ন এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদের দলীয় পদ সহ দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও বহিস্কার করা হয়েছে। বহিস্কৃত নেতাদের অপকর্মের কোন দায় দায়িত্ব দল নিবে না এবং যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে তাদের সাথে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছাড়ার পর পিরোজপুর সদরে জেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়, জেলা আওয়ামলীগের সভাপতি একেএমএ আউয়াল ও তার ভাই পৌর মেয়র হাবিবুর রহমানের বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে অগ্নি সংযোগ ও ভাংচুর সহ লুটপাট করা হয়।
জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. মারুফ হাসান তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গত ৫ আগষ্ট জেলা শহরে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারী ছাত্ররা আমার নেতৃত্বে (মারুফ হাসান) মিছিল করার সময় জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ইখতেয়ার মাহমুদ সজল আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করেন।
এতে সাধারন শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তিনি আরো বলেন, এ ছাড়া গত আওয়ামীলীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসন আমলে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বাড়ি-ঘরে একাধীকবার অগ্নি সংযোগ ও ভাংচুর সহ লুটপাট করা হয়েছে। ঘরে একদিনও ঘুমাতে দেয়ানি। প্রায় একই ধরনের বক্তব্য দলের বহিস্কৃত অন্য নেতাদেরও।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যপক আলমগীল হোসেনসহ দলের স্থানীয় একাধীক সূত্র জানান, বহিস্কৃত ওই সব নেতারা দলের ত্যাগী ও নির্যাতিত। দলের আহ্বায়ক মারুফ হাসান শহরের অত্যান্ত সভ্রান্ত পরিবারের সদস্য। কোন ব্যাক্তি ও গ্রুপ তাদের হয়রানী করতে তাদের বিরুদ্ধে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে এমন মিথ্যা তথ্য দিতে পারে।