দীর্ঘদিন যাবত কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ও পুলিশের সম্পর্ক সাপে নেউলে অবস্থার রুপ নেয়। এতে সারা দেশের ন্যায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার পুলিশ সদস্যরা টানা কয়েক দিনের কর্মবিরতি পালন করেন।
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে সারাদেশে বিভিন্ন থানায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে ১১ দফা দাবিতে নাগরিক সেবা বন্ধ রেখেছিলেন পুলিশ প্রশাসন।
সেনাবাহিনীর তৎপরতায় সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় থানা পুলিশ তাদের নাগরিক সেবা সহ সকল কার্যক্রম শুরু করছে।
সোমবার (১২ আগষ্ট) সকালে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করেছে। সরকার পতনের পর ১১ দফার দাবিতে ছয় দিন থানার গেট বন্ধ করে কর্মবিরতি পালন করেন ভূঞাপুর থানা পুলিশ।
এদিকে পুলিশের কর্মবিরতির কারণে সোমবারও শিক্ষার্থীরা ট্রাফিকের দায়িত্ব নিয়ে যানবাহন চলাচল ও সড়কে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে। আবার অনেক শিক্ষার্থী দেশটাকে ঢেলে সাজাতে দেয়ালে দেয়ালে প্রতিবাদী শ্লোগান লিখছে। পরিষ্কার করছেন বিভিন্ন স্থান ও রাস্তা।
এদিকে বৃহস্পতিবার নতুন পুলিশ প্রধান এই বাহিনীর সকল সদস্যদের স্ব-স্ব কর্মস্থলে যোগ দিতে অনুরোধ করেন। আর তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাসও দেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কড়া নির্দেশ দেন বৃহস্পতিবারের মধ্যে কর্মস্থলে যোগ না দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার সকাল থেকে নাগরিক সেবা সহ থানার সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক ভাবে চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আহসান উল্লাহ।