শুক্রবার ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ১২ বৈশাখ ১৪৩২
শুক্রবার ২৫ এপ্রিল ২০২৫
লুটের অস্ত্র নিয়ে টিকটক করার সময় গুলিতে যুবকের মৃত্যু
ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: সোমবার, ১২ আগস্ট, ২০২৪, ৮:৪৬ PM
থানা থেকে লুট করা অস্ত্র নিয়ে তিন বন্ধু টিকটক করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন একজন। সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল ৬টার দিকে ঢাকার নিউরো সায়েন্স হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

গুলিতে নিহত যুবকের নাম পলাশ হোসেন (১৮)। তিনি ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার আটরশি গ্রামের মোশারফ হোসেনের বড় ছেলে। মোশারফ হোসেন একটি খাবার হোটেলের মালিক। উপজেলার আটরশি মোড়ে তার দোকান রয়েছে। পলাশ তার বাবার সঙ্গে হোটেলেই কাজ করতেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৬ আগস্ট সকালে পলাশ তার বাবার হোটেলে কাজ করছিল। সে সময় তার দুই বন্ধু পলাশকে হোটেল থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তারা আড়াই রশি গ্রামে পলাশের নানা মোসলেম মাতুব্বরের বাড়িতে যায়। ওই বাড়ির একটি কক্ষে তারা তিনজন মিলে গত ৫ আগস্ট সদরপুর থানা থেকে লুট করে নেওয়া একটি শর্টগান নিয়ে টিকটক ভিডিও শুরু করে। 

একপর্যায়ে অস্ত্রটি একে অপরের মাথায় তাক করে অভিনয় করতে থাকে। হঠাৎ শর্টগান থেকে গুলি বের হয়ে তা পলাশের মাথায় লাগে। গুলির শব্দ এবং পলাশের চিৎকার শুনতে পেয়ে বাড়ির লোকজন ছুটে যান সেই কক্ষে। সেখানে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে থাকতে দেখা যায় পলাশকে।

গুলিবিদ্ধ পলাশকে প্রথমে আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিল হাসপাতালে নেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে নেওয়া হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর থেকে ঢাকা নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ছয় দিন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ সোমবার পলাশের মৃত্যু হয়।

গ্রামবাসী জানান, পলাশ যে অস্ত্রটি থেকে গুলিবিদ্ধ হন, সেটি সদরপুর থানা থেকে লুট হওয়া একটি শটগান। ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন বিকেলে সদরপুর থানা থেকে ওই শটগান লুট করা হয়েছিল। অস্ত্রটি আটরশির একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে উদ্ধার করে প্রথমে সদরপুরের আনসার বাহিনীর কাছে এবং পরে ফরিদপুর সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এ ঘটনার পর পলাশের ওই দুই বন্ধু ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা আত্মগোপন করায় এ ব্যাপারে তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

তবে নিহত পলাশের মা পারুলী আক্তার দাবি করেছেন, সদরপুর থানা থেকে লুট করা অস্ত্র দিয়ে তাঁর ছেলেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, থানার কাজকর্ম শুরু না হওয়ায় এ ব্যাপারে ঘটনার দিনই কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত