অর্থের অভাবে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিতবৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এসে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত বগুড়ার শিশু জুনাইদ ইসলাম রাতুল (১২)। ঢাকার শের-ই-বাংলা নগরে অবস্থিত ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে সে।
সে বগুড়া শহরের সুলতানগঞ্জপাড়া ঘোনপাড়া হাকিরমোড় এলাকার মোঃ জিয়াউর রহমান ও মোছাঃ রোকেয়া বেগমের সন্তান। বগুড়া উপশহরের পথ পাবলিক স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।
আহত শিক্ষার্থী জুনাইদ ইসলাম রাতুলের পিতা জিয়াউর রহমান জানিয়েছেন, গত ৫ আগস্ট তাঁদের সন্তান রাতুল অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সাথে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘোষিত বিক্ষোভে যোগ দেয়।
বিকেল সাড়ে ৪ টার সময় বগুড়া শহরের বড়গোলা ঝাউতলা এলাকায় আসলে থানার মোড় রেল লাইন এলাকা থেকে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা ছাত্রদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও গুলি ছুঁড়তে থাকে। এক পর্যায়ে শিশু শিক্ষার্থী রাতুল পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে গুরুতর আহত হয়। তখন তাঁকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রথমে তাঁকে আইসিইউ এ নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা তাঁকে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলে সেখানে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। শিশু রাতুলের মুখমন্ডলে, চোখে ও মাথায় গুলি লেগে মারাত্মকভাবে জখমপ্রাপ্ত হয়েছে।
শিশু রাতুলের পিতা একজন মুদি দোাকানদার। তাঁদের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। বগুড়া থেকে ঢাকা নিয়ে চিকিৎসা করাতে বেশ কিছু টাকা ঋণ করতে হয়েছে। তিনি শুনেছেন, বিনা খরচে চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য সরকার নিদের্শনা দিয়েছেন কিন্তু শিশু রাতুলের সব ধরনের পরীক্ষা নিরিক্ষার জন্য তাঁকে অনেক টাকা খরচ করতে হচ্ছে। এতো টাকা খরচ করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, যেহেতু তাঁর সন্তান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এসে গুলিতে আহত হয়েছে। সেকারণে বর্তমান অন্তবর্তীকালিন সরকারের নিকট তাঁর আকুল আবেদন সরকারী খরচে যেন তাঁর সন্তানের চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়।