ফের চাকরিচ্যুত আলোচিত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান ও সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকাল ৭টায় দুজনকেই আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর আদাবর থানা এলাকায় সুমন নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা মামলায় জিয়াউল আহসান এবং জাকির নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা মামলায় সাদেক খানকে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করে পুলিশ।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ দুজনের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে গত ১৫ আগস্ট দিবাগত রাতে জিয়াউল আহসানকে গ্রেফতার করা হয়। পরের দিন শুক্রবার (১৬ আগস্ট) তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর নিউমার্কেট এলাকায় দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলীকে (২৪) হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ড নিতে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব তার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২৪ আগস্ট তার রিমান্ড শেষ হওয়ায় আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী খালেদ সাইফুল্লাহকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে লালবাগ থানায় করা মামলায় জিয়াউল আহসানকে গ্রেফতার দেখিয়ে ফের ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে, গত ২৪ আগস্ট রাজধানীর পশ্চিম নাখালপাড়া থেকে সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর মোহাম্মদপুরে ট্রাকচালক সুজন (২৫) হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে রোববার (২৫ আগস্ট) আদালতে হাজির করা হয়।
মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানিশেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।