নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের যে দাবি শিক্ষক-অভিভাবকরা তুলেছেন, তা পুরোপুরি সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
শনিবার (৩১ আগস্ট) রাতে নিজ বাসভবনে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘শিক্ষাক্রমে আগের কিছু বিষয় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। বিজ্ঞান, মানবিক, বাণিজ্য বিভাগ আনা হচ্ছে। পরীক্ষা আনা হচ্ছে। তার মানে এই নয় যে, কোনো একটা শিক্ষাক্রম আমরা বাতিল করে দিয়ে আরেকটা গ্রহণ করছি। এখন আমাদের সেই সময় নেই। সে জন্য আমরা কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
তিনি বলেন, ‘আগামী বছরও কিছু পরিপত্র জারি করে যেসব দুর্বলতা আগের শিক্ষাক্রমে আছে, সেগুলো সংশোধনের চেষ্টা করব। অবশ্যই তা বাস্তবায়নযোগ্য হতে হবে। স্পষ্ট কথা হলো: কোনো কারিকুলাম বাতিল করছি না, কোনো পুরোনো কারিকুলামেও ফেরত যাচ্ছি না।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমাদের পাঠ্যপুস্তক ছাপাতে হবে। সে জন্য আগের পাঠ্যপুস্তকে ফিরে যাচ্ছি। এর মানে এই নয় যে, আগের কারিকুলামে ফেরত যাচ্ছি বা নতুন কারিকুলাম বাতিল হয়ে গেল।
এ কারিকুলামেও কিছু কিছু ভালো জিনিস ছিল। আমরা আগামী বছরজুড়ে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বসে মাঝে মাঝে পরিপত্র জারি করে যতটুকু সংশোধন করা যায়, তা করব।’
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘শিক্ষাক্রমে নীতিগতভাবে আমরা দেখেছি যে, এখন যে শিক্ষাক্রম দু-তিন বছর আগে থেকে চালু আছে, এতে সর্বসম্মতিক্রমে ছাত্র-ছাত্রীদের পিতামাতাদের থেকে খবর পাচ্ছি যে এগুলো আমাদের উপযোগী নয়।
এটা শিক্ষাক্রম বিদেশি ধ্যান-ধারণা থেকে হঠাৎ করে আনা হয়েছে। আমাদের শিক্ষকদের যে যোগ্যতা ও আমাদের যে শিক্ষণপদ্ধতি, এটাতে এগুলো বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।’