পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার নদমূলা গ্রামে গত ৫ আগষ্ট সন্ধ্যায় দেলোয়ার হোসেন তালুকদারের রড় সিমেন্টের দোকান ও বাড়ীতে, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ এবং তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার ঘটনায় গত ৬ সেপ্টেম্বর ভাণ্ডারিয়া থানায় ১২ জনকে চিহ্নিত এবং ১৫/১৬ অজ্ঞাতনামা আসামি একটি মামলা দায়ের করেছেন।
দেলোয়ার হোসেন তালুকদার ২৭ আগষ্ট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নালিশী দরখাস্ত করলে আদালত ভাণ্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জকে এজাহার হিসেবে গণ্য করে নিয়মিত মামলা রুজু করতে নির্দেশ প্রদান করে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, একই এলাকার মো. মজিবর হাওলাদার এর ছেলে ছেলে আবুল বশার রিপন হাওলাদার, মো. দেলোয়ার হাওলাদারের তিন ছেলে রায়হান হাওলাদার, জুলফিকার হাওলাদার, জহিরুল হাওলাদার, আবুলবশার হাওলাদার এর ছেলে শাকিব হাওলাদারসহ মোট ১২জন চিহ্নিত এবং ১৫/১৬ জন লোক মিলে প্রথমে দেলোয়ার হোসেন তালুকদারের নির্মান সামগ্রীর দোকান সিজল এন্টারপ্রাইজ লুট করে, দোকানে থাকা মোটর সাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এসময় সে দোকান থেকে প্রাণ বাচাঁতে দৌড়ে তার বাড়ীর উঠান পর্যন্ত পৌঁছলে প্রতিপক্ষ তার পিছু নিয়ে তাকে ধরে বেধরক মারধর করে। এ সময় প্রতিপক্ষের ধরালো অস্ত্রের আঘাতে তার ডান হাতের একটি আঙুল মারাত্মক ভাবে জখম হয় এবং সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
এর পরও খান্ত হয়নি সন্ত্রাসীরা তার বাস ভবনে ঢুকে ফ্রিজ,টিভি ভাঙচুরসহ, ব্যপক লুটপাট চালায় এবং ক্ষতি সাধন করে। আহত দেলোয়ার হোসেন তালুকদারকে প্রথমে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ।
ভাণ্ডারিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সোলায়মান জানান এ ঘটনায় আদালতের নির্দেশে ভাণ্ডারিয়া থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।