ঢাকায় দিনে কয়েক ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ থাকছে না। গ্রামে এই অবস্থা আরও নাজুক। দিনে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। এর মাঝে গরমে আরও অস্বস্তিতে মানুষ।
দিনে বর্তমানে ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতিতে দেশ। সহসাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা সব তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র একসঙ্গে বন্ধ না করার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি গ্যাস ও সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর ওপরও জোর তাদের। গ্যাস সংকটসহ বেশ কিছু কারণেই উৎপাদনের এই ঘাটতি।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিদ্যুতের জ্বালানির ব্যাপারে আলাদাভাবে যে প্রস্তাবগুলো আমাদের কাছে এসেছে এলএনজি আমদানিসহ বিভিন্ন জ্বালানি সেগুলো আমরা কোনোভাবেই আটকাচ্ছি না। খুব গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো আমরা সবসময় অনুমোদন দিয়ে দিচ্ছি। আমাদের যতই সমস্যা থাকুক এগুলো দ্রুত কেনার ব্যাপারে চেষ্টা চলছে।
ঢাকায় এখন দিনে ৪ থেকে ৫ বার বিদ্যুৎ যাচ্ছে। রাতেও ঘুমানো যাচ্ছে না, হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। আর একবার গেলে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। এই মুহূর্তে সব তেলভিত্তিক কেন্দ্র একসঙ্গে বন্ধ করার পক্ষে নন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হিসেবে গ্যাসভিত্তিক ও সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র দ্রুত চালুর পরামর্শও তাদের।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন বলেন, আমরা যদি তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো হঠাৎ করে সরিয়ে দেই তাহলে আমাদের লোডশেডিং চলবেই। দীর্ঘমেয়াদি যেগুলো দিয়ে আমরা গ্যাস আমদানি করব সেগুলো যেন ঠিক সময় আসে। এবং গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো যেন ঠিক করে তৈরি করা হয়। এটা ঠিক হতে এক থেকে দু'বছরের মতো লাগবে।