আন্দোলনের সময় দেশের পাঁচ কারাগার থেকে পালিয়েছে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ও যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া ছিল ৮৭ জন। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন পাঁচজন। ছদ্মবেশে ও আত্মগোপনে থাকা এসব পেশাদার খুনি-জঙ্গিদেরকে নিরাপত্তার বড় হুমকি হিসেবে দেখছেন কর্মকর্তারা।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কারাগার থেকে পালায় মোট ২ হাজার ৩০০ বন্দি। এদের চারভাগের একভাগ ফিরলেও অনেকেই এখনও লুকিয়ে আছে ছদ্মবেশে। তখন কারাগারে নজিরবিহীন হামলা-ভাঙচুর-লুটপাট চালানো হয়। আসামিরা পালিয়ে যায় কারাগারের অস্ত্র নিয়েও।
পাঁচটি কারাগারে ঘুরে দেখা গেছে, অস্ত্র লুটের সঙ্গে পুড়িয়ে দেওয়া হয় কারাগারে থাকা মামলার গুরুত্বপূর্ণ সব নথি। প্রমাণ সরাতে ভাঙচুর করা হয় কারাগারের সকল সিসিটিভি ক্যামেরাও। কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে গত ৬ আগস্ট দুর্ধর্ষ বন্দীদের মধ্যে পালিয়ে যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ ২০৩ জন। এরমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে মাত্র পাঁচজন।
নরসিংদী কারাগার
র্যাবের মুখপাত্র মুনিম ফেরদৌস বলেন, কারাগারে নথি পুড়িয়ে ফেলার কারণে অনেক বেগ পেতে হয়েছে কাজ করতে। এরই মধ্যে আমরা পলাতক আসামিদের শনাক্ত করতে পেরেছি। নতুন ভাড়াটিয়া কিংবা অপরিচিতদের আনাগোনাকে সন্দেহের তালিকায় রেখেছি। এছাড়া, কেউ কেউ দেশের সীমানা ছেড়েছে বলেও আশঙ্কা করছি।
কারা পরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বলেন, দেশের পরিস্থিতির কারণে তখন কারাগারগুলোতে একটা অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল। এই অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে কারাগারগুলো এসব ঘটনা ঘটেছে। পেশাদার অপরাধীদের নথি পরিকল্পিতভাবে পুড়িয়ে ফেলায় আসামি ধরতে বেগ পেতে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে।