নরসিংদীর পলাশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সাথে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
এর মধ্যে গুরুতর আহত ৫ জনকে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত কয়েকদিন ধরে চরসিন্দুর ইউনিয়নের কলার হাট ও পশুর হাট পরিচালনা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সাথে ইউনিয়ন বিএনপির কিছু নেতাকর্মীদের বিরোধ চলছিল। গতকাল সাপ্তাহিক হাট চলাকালীন শিক্ষার্থীরা হাটে অবস্থান নেয়।
পরে সন্ধ্যার পর বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী হাটে অবস্থান নিতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে দু’পক্ষের ২০ জন আহত হয়। গুরুতর আহত কয়েকজনকে উদ্ধার করে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্ররা জানায়, আওয়ামী লীগ পতনের পর চরসিন্দুর বাজারে চাঁদাবাজি শুরু করে স্থানীয় বিএনপির নেতা কর্মীরা। পুরো বাজারই দখল করে নেয় তারা। এই বাজার আওয়ামী লীগ ও ছাত্রদের কাউকেই বাজারে আসতে দেবে না বলে জানায় বিএনপির লোকজন। আমরা ছাত্ররা বাজারের চাঁদাবাজি বন্ধ করতে যাওয়ায় আমাদের উপর এই হামলা করেছে তারা। আমরা এই হামলার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
আহত শিক্ষার্থী শান্ত জানান, বিএনপির নেতাকর্মীরা অবৈধভাবে হাটবাজারে চাঁদা তুলতো। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা বাধা দিয়ে তাদের কাছ থেকে হাটবাজার উন্মুক্ত করা হয়। গতকাল হাট চলাকালীন রাত ৮টার দিকে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী লাঠি-সোটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এতে ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকতিয়ার উদ্দিন জানান, সাপ্তাহিক হাট পরিচালনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পলাশ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি শুনেছি। তবে এলাকার বাহিরে থাকায় কী কারণে এ ঘটনা তা জানতে পারিনি।