বগুড়ার ধুনটে ছাত্রদল নেতাকে রাম দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনার জের ধরে বিএনপির দুই নেতাসহ তিনজনকে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে।
এ নিয়ে দুই গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আহত ছাত্রদল নেতা আল মামুনকে (২৪) মঙ্গলবার রাতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি ধুনট উপজেলার নলডাঙ্গা গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে ও এলাঙ্গী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী।
মামুনের বড় ভাই মঞ্জুরুল হক জানান, মঙ্গলবার দুপুরে এলাঙ্গী বাজারে টিসিবি'র কার্ডধারীদের মধ্যে পণ্য বিক্রি করা হয়। বেশকিছু পণ্য অবিক্রিত থাকে। স্থানীয় বিএনপি নেতা মুরাদুজ্জামান পণ্যগুলো নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় মামুনসহ কয়েকজন ছাত্রদল নেতার বাঁধার মুখে পণ্যগুলো ইউনিয়ন পরিষদে রাখা হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যা সাতটার দিকে মুরাদুজ্জামান এলাঙ্গী বাজারে এসে মামুনকে একা পেয়ে রামদা দিয়ে পিঠে কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়।
ধুনট উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মুরাদুজ্জামান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, টিসিবি'র পণ্য বিক্রির পর ১১৫টি কার্ডের পণ্য অবিক্রিত থাকে। মামুনসহ কয়েকজন সেই পণ্য নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আমি বাঁধা দিয়ে বলি, এলাকার গরিব মানুষের মধ্যে ১১৫টি কার্ডের পণ্য বিতরণ করা হবে। এতে মামুন আমার ওপর ক্ষুদ্ধ হয়। সন্ধ্যার পর এলাঙ্গী বাজারে সাজু নামের আমার এক কর্মীকে মারধর করে মামুন। খবর পেয়ে সাজুর গ্রামের লোকজন বাজারে আসলে মারমারি হয়। তখন মামুন আহত হয়।
এলাঙ্গী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন বলেন, মঙ্গলবার টিসিবি'র অবিক্রিত পণ্য ভাগাভাগি নিয়ে বৈঠকে মামুনের সঙ্গে মুরাদুজ্জামানের বিরোধ হয়। এর জের ধরে মামুনকে কুপিয়ে আহত করা হয়।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈকত হাসান বলেন, টিসিবি'র পণ্য নিয়ে নিজেদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হলে মারামারির ঘটনা ঘটে। কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ দেয়নি। এলাঙ্গী বাজারে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বুধবার সকালে মামুনের গ্রামের (নলডাঙ্গা) লোকজন এলাঙ্গী বাজারে রাঙ্গামাটি গ্রামের বিএনপি নেতা, লিটন মাহমুদ, আসাদুজ্জামান লিপটন ও তার ছেলে লিমনকে মারধর করে। এরপর থেকে নলডাঙ্গা ও রাঙ্গামাটি গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।