নার্সিং পেশা ও নার্সদের নিয়ে কটূক্তি করায় মহাপরিচালক মাকসুরা নুরের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করেছে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত নার্সরা।
এসময় নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ নার্সিং প্রশাসন ক্যাডারদের অপসারণ এবং নার্সদের পদায়ন নিশ্চিত করার জন্য ১ দফা দাবিও করা হয়।
শনিবার সকালে নার্সিং সংস্কার পরিষদের আয়োজনে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে মহাপরিচালক মাকসুরা নুরের অপসারণ ও মহাপরিচালক হিসেবে দক্ষ, যোগ্য, বিচক্ষণ নার্সিং অফিসার নিয়োগের দাবি জানানো হয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন নার্সিং সুপারভাইজার সেলিনা আক্তার, ওয়ার্ড ইনচার্জ কুসুম রানী পাইক।
নার্সিং সুত্রে জানা যায় , ১৯৭৭ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত নার্সিং এর সকল কার্যক্রম পরিচালিত হতো নার্সিং সেবা পরিদপ্তরের মাধ্যমে এবং পরিচালক ছিলেন নার্সিং অফিসার।
২০১৬ সালের ১৬ ই নভেম্বর পরিদপ্তর রুপান্তরিত হয় অধিদপ্তরে, এবং মহাপরিচালক হন নন নার্সিং কর্মকর্তা।
তারা বলেন, অধিদপ্তরের ভাবনা ও উদ্দেশ্য ছিলো নার্সিং প্রফেশনের উন্নতি এবং দক্ষ ও যোগ্য নার্স গড়ে তোলা কিন্তু সেটা দুর্নীতি আর অপশক্তির কারণে আর হয়ে উঠেনি।
তখন থেকেই নার্সদের বৈষম্যের শিকার হতে শুরু হয় যা এখনো চলমান।
ওয়ার্ড ইনচার্জ কুসুম রানী পাইক বলেন, চলতি মাসের ৮ তারিখে বর্তমান মহা পরিচালক মাকসুরা নুর স্যার নার্সদের নিয়ে কটুক্তি করেন। উনার এরুপ কটুক্তির কারণে নার্সিং সমাজ ব্যাথিত এবং অসম্মানিত হয় যা আমাদের অস্তিত্বে আঘাত হানে।
একজন নার্সিং মহাপরিচালক হয়ে নার্সদের এমন ছোট করে কটুক্তিমুলক কথা কোনোভাবেই শোভনীয় নয়। এ যেন মায়ের আঁচলের ছায়াতলে সন্তান অনিরাপদ। তাই বাংলাদেশের সকল নার্সিং শিক্ষক মন্ডলি, নার্সিং স্টুডেন্ট, নার্সিং কর্মকর্তা,মিড ওয়াইফ সহ সবাই একাত্ম ঘোষণা করে উনার অপসারণ দাবি করছি। সেই সাথে মহাপরিচালক হিসেবে দক্ষ, যোগ্য, বিচক্ষণ নার্সিং অফিসার নিয়োগ দাবি করছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র স্ট্যাফ নার্স সামিয়া ইসলাম,কানিজ ফাতেমা,খাদিজা আক্তার, সুমনা আক্তার,জেসমিন আক্তার, তানিয়া আক্তার,সুলতানা আক্তার, সুরাইয়া,মনিষা প্রমুখ।