"চাইলাম পাওনা টাকা হয়ে গেলাম চাঁদাবাজ" শ্লোগানকে সামনে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা ভূমি অফিসের পিয়ন পোস্টে কর্মরত ভূপতি চন্দ্র সরকার জমি বিক্রয়ের প্রলোভন দেখিয়ে লোকজনের নিকট হতে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর বিরুদ্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
১৫ সেপ্টেম্বর রবিবার ১২ ঘটিকায় গঙ্গাচড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনে গঙ্গাচড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডবাসীর আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়,উপজেলার পশ্চিম চেংমারী গ্রামের সুজন মিয়া (৫৫), মেরাজুল ইসলাম (৭০) ও মমতাজ বেগম (৭৫) ৩৩ শতক জমির ওপর বহু বছর ধরে বসবাস করে আসছেন।
সুজন মিয়া বলেন, স্বাধীনতার আগে বাপ দাদা এই জমি ডা. আলিমুদ্দিনের কাছ থেকে কিনে বসবাস শুরু করেন। জমি লিখে দেওয়ার আগে আলিমুদ্দিন মারা যান। তার ছেলে আজিজুল ইসলাম লন্ডন প্রবাসী। সুজন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, 'সম্প্রতি ভূমি অফিসের পিয়ন বাড়িতে এসে বলেন এই জমি আমাকেৎদেখভালের দায়িত্ব দিয়েছেন লন্ডন প্রবাসী আজিজুল ইসলাম।
তিনি দেশে আসছেন, পাঁচ লাখ টাকা দেন তোমাকে ১১ শতক জমি লিখে দেওয়ার ব্যবস্থা করতেছি। আমি পিয়নকে পাঁচ লাখ টাকা দেই। কিন্তু জমি লিখে দেয়নি। মমতাজ বেগম অভিযোগ করে বলেন, 'জমি লিখে দিতে আমার কাছেও পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেছিলেন পিয়ন। কিন্তু আমার স্বামী ও ছেলে সন্তান না থাকায় তার দাবিকৃত টাকা দিতে পারি নাই। তবে ৭০ হাজার টাকা সুদের ওপর এনে পিয়নকে দিয়েছি। কিন্তু জমি লিখে দেননি।'
মমতাজ বেগম কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, 'জমির মালিক লন্ডণ প্রবাসী। তাকে কোনোদিনও দেখিনি। কিন্তু সেই জমি লিখে দেওয়ার কথা বলে ৭০ হাজার টাকা নেওয়ার পর আবারও টাকা দাবি করছেন পিয়ন। আমি কোথায় পাই এত টাকা?' মেরাজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, 'আমার কাছ থেকেও ৭৫ হাজার টাকা নিয়েছেন পিয়ন। এখন আবারও টাকা দাবি করছেন।'
শুধু সুজন, মমতাজ ও মেরাজুলের কাছ থেকে প্রতারণা করে টাকা নেননি। ওই পিয়ন এলাকার আরও বেশ কিছু মানুষের কাছ থেকে ওই লন্ডণ প্রবাসীর আবাদি জমি লিখে দেওয়ার কথা বলে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
কিন্তু টাকা চাইতে গেলে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। তার বিরুদ্ধে সংবাদ পত্রে সত্য সংবাদ প্রচার হলে ভুপতি চন্দ্র সরকার সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, যে আমরা তার কাছে চাঁদাবাজি করতে গিয়েছিলাম।"চাইলাম পাওনা টাকা হয়ে গেলাম চাঁদাবাজ"।