ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে গণপিটুনির শিকার এক যুবক মারা গেছেন।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে ওই যুবককে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত যুবকের নাম তোফাজ্জল, তার বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নে। তিনি একজন মানসিক ভারসাম্যহীন এতিম বলে জানা গেছে। এদিকে ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে উঠেছে নিন্দার ঝড়। ক্ষুব্ধ নেটিজেনরা কথা বলছেন মব জাস্টিসের বিরুদ্ধে। সরব হয়েছেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীও।
বিষয়টি নিয়ে আজ ফেসবুকে এ নির্মাতা লিখেছেন, তুমি যদি স্বাধীনতার মর্ম না বোঝো, তাহলে তুমি স্বাধীনতার স্বাদ হারাবে। আব্বার কাছে শুনতাম, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অনেকের মধ্যেই জোশ চলে আসছিল যে সে-ই সব। সে নিজেই অভিযোগকারী, নিজেই বিচারক, নিজেই এক্সিকিউশনার।
হাতে অস্ত্র আছে, অথবা আছে মবের শক্তি। সুতরাং মারো, মেরে ফেলো। ফল কি হয়েছিল আমরা জানি। তিনি লিখেন, আচ্ছা স্বাধীনতার পর না হয় একটা বিশৃঙ্খল অবস্থা ছিল, এমন কি যখন আওয়ামী লীগের কঠিন আঁটুনির ভেতর আটকা ছিল দেশ, তখনও কি আমরা বাড্ডার এক মাকে ছেলেধরা সন্দেহে মারি নাই?
রংপুরে নামাজের পর এক মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষকে মেরে পুড়িয়ে দেই নাই? ফারুকী যোগ করেন, আমি আশা করছিলাম, এই নতুন স্বাধীনতা প্রাপ্তির সাথে সাথে নতুন দায়িত্বের ব্যাপারটা আমারা উপলব্ধি করব। আমাদের দিলে রহম জিনিসটা আসবে। একশ জন মববাজি করতে আসলে দুইজন হলেও রুখে দাঁড়াবে! ঢাকা আর জাহাঙ্গীরনগরে কি এরকম চারজন ছাত্র ছিলো না রুখে দাঁড়ানোর? এটা লজ্জার, বেদনার। সবশেষে লিখেছেন, সবাই দায়িত্ব নিই চলেন।
মববাজি বন্ধ করেন। ফ্যাসিবাদিদের ফাও আলোচনার বিষয় উপহার দেয়া থেকে বিরত থাকেন। প্লিজ। আলোচনাটা থাকতে দেন রিফর্মে, ফ্যাসিবাদের বিচারে।