গাজীপুরের বাঘের বাজার এলাকায় গোল্ডেন রিফিট গার্মেন্টস লিমিটেড পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা হাজিরা বোনাস ও নাইট বিল বৃদ্ধি, টিফিননের মান উন্নত, বাৎসরিক অর্জিত ছুটির টাকা প্রতি বছরের প্রথম মাসে পরিশোধের দাবীতে মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে শ্রমিকেরা।
এসময় সড়কের উভয় পাশে রাজেন্দ্রপুর থেকে মাওনা চৌরাস্তা দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে সড়কে চলাচলকারী যাত্রী, চালক ও স্থানীয়দের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮ টা থেকে গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার বাঘের বাজার এলাকায় গোল্ডেন রিফিট গার্মেন্টস পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে সড়কে যানজট লেগে থাকে। পরে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সকল দাবী মেনে নিলে ১২ টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আন্দোলনরত শ্রমিকেরা জানান, গতকাল তাদের পাশের মন্ডল ইন্টিমেন্টস পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা আন্দোলন করে তাদের দাবী পূরণ হওয়ার পর সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেয়। ওই কালাখানার শ্রমিকদের মতো আমরাও কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছি। তাই আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবী আদায়ে মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছি।
এতে সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং যাত্রী, সাধারণ মানুষ ও চালকেরা ভোগান্তিতে পড়েন। খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ, জয়দেবপুর থানা পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন।
কারখানা কর্তৃপক্ষেরে মেনে নেওয়া দাবীগুলো হলো হাজিরা বোনাস ৫০০ টাকার পরিবর্তে ১০০০ টাকা, হেলপার ও সমমনা গ্রেপধারীদের হাজিরা বোনাস ৩০০ টাকার পরিবতে ৮০০ টাকা, টিফিন বিল২২ টাকার পরিবর্তে ৪০ টাকা, নাইট বিল অপারেটর ও সমমনা গ্রেডধারীদের জন্য ৫০ টাকার পরিবর্তে ৮০ টাকা, সমমনা গ্রেডধারী শ্রমিকদের ৭০ টাকা, উপস্থিতির জন্য নির্ধারিত সময় থেকে অতিরিক্ত পাঁচ মিনিট সময় সুবিধা দেওয়া, গালি-গালাজ, হয়রানি ও অপেশাদারমূলক আচরনের অভিযোগ উঠলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রæতি দেয় কর্তৃপক্ষ।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক (বাঘের বাজার জোন) সুমন মিয়া জানান, সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে শ্রমিকেরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভক করছে। শ্রমিকদের সকল দাবী মেনে নেওয়ার পর তারা দুপুর ১২ টার দিকে সড়ক থেকে সরে গেলে চার ঘন্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এসব বিষয়ে গোল্ডেন রিফিট গার্মেন্টস লিমিটেড পোশাক কারখানার মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক (এজিএম) রেজাউল করিম জানান, শ্রমিকদের সকল দাবী-দাওয়া মেনে নেওয়া হয়েছে।